জিন্নাত আরা জেমিন:চাঁদা না দেয়ায় সরকারি টিসিবি পণ্য বিতরণে বাধা দিচ্ছেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি বাজার এলাকায় প্রভাব বিস্তারকারী মোঃ শাকিল মিয়া(২৫)। সে কাঁঠালবাড়ী এলাকার শিবরাম-২ গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্রেরমুখে অনেকের কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের আধ গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্য মোঃ আমির উদ্দিন বলেন, গত ২৩শে মার্চ দুপুর অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় কাঁঠালবাড়ি বাজারের পূর্ব দক্ষিণ পাশে বাস টার্মিনালে থাকা তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে টিসিবি পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছিল। এমতাবস্থায় মোঃ শাকিল মিয়াউক্ত প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সরকারি টিসিবি পণ্য সরবরাহ করতে বাধা প্রদান করে এবং ১০০০০/- (দশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবি করে। সেসময় টিসিবির পণ্য সরবরাহের কয়েক লাখ টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার নেয়ার চেষ্টা করে সে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অভিযোগকারীর নাত জামাতা মোঃ লিয়াকত আলী রানু (৩২), মোঃ শাকিল মিয়াকে বাধা প্রদান করলে শাকিল মিয়া গজারি লাঠি দিয়ে রানুর মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে। ভাগ্যক্রমে আঘাত লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে রানু প্রাণে বেঁচে যায়। রানুর আত্ম চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে রক্ষা করে।পরে, ভুক্তভুগি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে পরবর্তীতে মালামাল দেয়ার কাজ সম্পন্ন করে। সেসময়, শাকিল তাহার চাঁদার দাবিকৃত টাকা না দিলে পরবর্তীতে সে আর কোন মালামাল সরবরাহ করিতে দিবে না বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে, গত ২৬/০৩/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা ০৬.৪৮ ঘটিকার সময় মোঃ শাকিল মিয়া তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর হতে ভুক্তভোগীকে মুক্তিযোদ্ধাকে ফোন দিয়ে আবারও ১০০০০/- (দশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করিলে জীবন নাশ সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারের সদস্য মো. আমীর উদ্দিন আক্ষেপ করে বলেন, দুই ভাই একই সাথে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, একভাই শহীদ হয়েছে। আপন রক্ত দিয়ে স্বাধীন করা বাংলাদেশে আজ আমি ব্যবসা করতে পারছি না। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। হুমকি প্রাদানের দিন ২৬শে মার্চ থেকে অনেকবার থানায় ঘুরেও অজ্ঞাত কারনে এ পর্যন্ত মামলা নেয়নি। তিনি আরও আক্ষেপ করে বলেন, আমার নিজের ছেলেও পুলিশ পরিবারের সদস্য সেবিষয়েও থানাকে অবিহিত করেছি তবু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি থানা পুলিশ। নিজেকে খুব অসহায় লাগছে।
এলাকার কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, কাঁঠালবাড়ী এলাকায় চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম বেড়েছে। শাকিলকে চাঁদা না দিয়ে কোন কাজ করা কঠিন। একজন স্বনামধন্য মুক্তিযোদ্ধা যদি নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে না পারে, পরিবারটি যদি এভাবে অসহায় হয়ে পড়ে তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে সে প্রশ্নের তোলেন তারা।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ শাকিল মিয়ার ব্যবহৃত নম্বরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ,নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকায় কথিত, শকিল প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মাদক, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত।
অন্যদিকে, এবিষয়ে জানতে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply