আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টাঃ
সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রী’র রহস্যেজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এ কারণে নেমে এসেছে পরিবারে শোকের ছায়া, চলছে শোকের মাতম।
আর এই হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে, বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নের পলাশ বাড়ী উত্তর পাড়া গ্রামে।
জানা গেছে ১২ আগস্ট (বুধবার) রাত ৮ ঘটিকার সময় বগুড়া সদরের পলাশবাড়ী উত্তর পাড়ায় ৭ম শ্রেণীর পিতৃ হারা এক মেয়ের রহস্য জনক মৃত্যু, মা ও সৎ বাবার পক্ষ থেকে আত্মহত্যা বলে চালিযে দেয়ার চেষ্টা চলছে।
থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। সাথীকে হত্যা করা হয়েছে নাকি সে আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি এখনো রহস্যজনক। এলাবাসী দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নের পলাশবাড়ী
উত্তর পাড়া গ্রামের শাহ আলম তার ৫/৭ বছরের একমাত্র কন্যা সন্তান সাথীকে রেখে মারা যায়। তার মৃত্যুর ২/৩ বছরের মধ্যে তার স্ত্রী হাসনা বেগম জয়পুর হাট জেলার কালাই উপজেলার ফরহাদ হোসেন নামে ২ সন্তানের জনকের সাথে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করেন।
সাথী শিবগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীতে পড়া লেখা করে। সাথীর মা তার পূর্বের স্বামী শাহ আলমের বাড়ীতে তার বর্তমান স্বামী ফরহাদকে নিয়ে বসবাস করতে চাইলে প্রতিবেশী ও শাহ আলমের আত্মীয় স্বজনরা বাধা দেয়৷ তাদের বাধা উপেক্ষা করে হাসনা বেগম বগুড়া সদর থানা ও কোর্টে প্রতিবেশী ও গ্রামের বেশ কযেকজন সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা করেন।
গোকুল ইউপি চেয়ারম্যান সাকাদুল ইসলাম সরকার সবুজ ও ইউপি সদস্য সালামত আলী বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত আছেন। তারপরও তাদের কথা না শুনে সদর থানা পুলিশ অভিযোগের সুত্র ধরে হাসনা ও তার প্রেমিক স্বামীকে গত ৩/৪ মাস পূর্বে শাহ আলমের বাড়ীতে বসবাসের সুযোগ দেয়।
প্রতিবেশীরা জানান শাহ আলমের বাড়ীর জায়গা সুকৌশলে বিক্রি করার জন্য হাসনা এখানে আসে। আর মাঝে মধ্যেই সৎ বাবা ও মা মিলে মেয়েটিকে শাররীরিক ও মানষিক ভাবে টর্চার করে।
এলাকাবাসীর ধারণা সাথী (১২) কে তার মা ও সৎ বাবা হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক করছে। তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সাথীর মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটন হবে।
এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীরকে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়ে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply