এম এ করিম নিউজ ডেস্কঃ
মহানবী রাসূল (সাঃ)এর বাণী কালোজিরা মহা ঔষুধী গুণাগুণ যা মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের নিরাময়ক কালোজিরা।
মানব দেহের ডায়াবেটিস নামক সবচেয়ে মারাত্মক রোগ হিসেবে পরিণত হয়েছে,যা কালোজিরার তেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে বেশ বহুগুণী সহায়তা করে।এবং নিয়োম মত প্রতিদিন সকালে এক কাপ চায়ের সঙ্গে আধা চা চামচ তেল মিশিয়ে পান করলে অনেকটাই এ রোগের উপসম লক্ষ্যকরা যায়।
এছাড়াও,মানুষের ডায়েট কন্টল করতে ভিষণ কষ্ট হয়,যার জন্য কালোজিরা প্রয়োজন মত নিয়মমাফিক খেলে দারুণ কাজ করে,এছাড়াও কালোজিরার তৈল রুটি ও তরকারিতে ব্যবহারে সুস্বাস্থ্যে বেশিরভাগই উপকারী।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে নিয়ম করে মধু ও পানিতে কালোজিরা এক সঙ্গে মিশিয়ে খেলে মানবদেহে সুস্বাস্থ্যের সুঠমো দেহের অধিকারী হতে অধিকাংশই কাজ করে।কালোজিরা ওটমিল ও টক দইয়ের সঙ্গে যুক্ত করে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
শুধু তাই নয়, লেবুর রস ও কালোজিরা তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে শরীর ও ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান লক্ষ্যকরা যায়। এবং লেবুর রস ও কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে দু’বার মুখে ত্বক স্কিনে অালতো করে মালিশ করলে ত্বকের ব্রণ ও দাগ অদৃশ্য যা বহু মানুষ পরীক্ষিত।
এদিকে,কালোজিরা তেল মাথাব্যথার জন্য একটি পুরানো ঘরোয়া প্রতিকারও বলা যায় যা এটি মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে হালকা বেশ ক’য়েক বার ব্যবহারে সুস্থতা অনুভাবী। এবং সরিষার তেলের সঙ্গে কালোজিরা তেল গরম করে হাঁটু বা অন্যান্য জয়েন্টগুলোতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ম্যাসাজ করলে এটি জয়েন্টের ব্যথা থেকেও মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে,কালোজিরায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায়, প্রদাহ, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করার ক্ষমতাসহ লিভারকে সুরক্ষিত করতে সহায়তা করে।এছাড়াও,কালোজিরা রাসায়নিকের বিষাক্ততা অনেকাংশে কমিয়ে অানতে পারে।তাছাড়া কালোজিরা প্রাণী দেহের লিভার ও কিডনির ক্ষতি এড়াতে সহযোগীতা করে।
মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে কালোজিরা।এবং চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে।এতে করে যে কোনও জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাই।
সাধারণত সর্দি-কাশিতে আরাম পেতে, এক চা চামচ কালোজিরার তেলের সঙ্গে এক চা চামচ মধু বা এক কাপ লাল চায়ের সঙ্গে আধা চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার সেবন করলে অনেকটাই সর্দি-কাশি উপসম পাওয়া যায়।
বিশেষকরে, জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশিতে কালোজিরা দারুণ ভাবে কাজ করে এবং বুকে কফ বসে গেলে কালিজিরা সিল পাটাই বেটে, মোটা করে প্রলেপ দিলে অনেকটাই সুস্থতা অনুভব করা যায়।এবং যারা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী।
মানব মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালনের দ্রুত বৃদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে কালোজিরার ব্যবহার অপরিহার্য,এবং শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ও শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও কালোজিরা বহুগুণী কাজ করে থাকে।
এছাড়াও নিয়মিত কালোজিরা সেবনে চুলের গোড়ায় পুষ্টি ঠিকমতো পায়, ফলে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে সপ্তাহে কয়েকবার কালোজিরার তেলের ব্যবহার চুলের সমস্যাকে বেশ দূর করতে পারে।
পারলে এটি নিয়মিত প্রতিদিন সকালে কাঁচা চিবিয়ে খেলে মানব স্বাস্থ্যের সুস্বাস্থ্য লক্ষ্যণীয়।
Leave a Reply