উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে সেবা নিতে আসে প্রায় আড়াইশত থেকে তিনশত রোগী। সুন্দর পরিবেশে সুষ্ঠু স্বাভাবিক সেবা দেয়ার লক্ষ্যে প্রবেশ মুখেই সুন্দর করে সাজানো হয়েছে ফার্মিসি। ফার্মিসিতে রয়েছে নারী, পুরুষের আলাদা দুটি টিকিট কাউন্টার ও ঔষধ বিতরণের জন্য একটি ডিসপেনসার ও স্টোর রুম। ফার্মিসির পরিবেশ সুন্দর হলেও দূষণে রয়েছে সেবার মান। ফার্মিসিতে প্রয়োজনিয় দক্ষ জনবল না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে রোগিসহ স্বজনরা। নিয়োগ অনুযায়ী রয়েছে একজন ফার্মাসিস্ট, একজন সহকারী ফার্মাসিস্ট ২ জন টিকিট বিতরণ কারী ও স্টোর কিপার। দক্ষ ফার্মাসিস্ট সামসুল আলম নিয়োমিত থাকলেও নেই চারজন কর্মচারি। নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী ফার্মাসিস্ট হিসেবে রয়েছেন মোছাঃ তামান্না এবং টিকিট বিতরণ কারী। কাগজ কলমে নিয়োগ থাকলে বাস্তবতায় তারা কাজে নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় সহ: ফার্মাসিস্টের পরিবর্তে রাখা হয়েছে অদক্ষ রানুকে এবং টিকিট বিতরণের জন্য রাখা হয়েছে ধার করে নেয়া হারবাল সহকারী হামিদকে। কয়েকজন ডাক্তারের সাথে কথা বলে জানা যায় ফার্মিসিতে দক্ষজনবল না থাকায় পরামর্শ পত্র অনুযায়ী ঔষধ পাচ্ছেনা রোগীরা। রোগীদের সথে কথা বলে জানা যায নারী পুরুষ একত্রে যুদ্ধ করে টিকেট কেটে ডাক্তার দেখার পড় ফার্মিসিতে ঔষধ নিতে গেলে কাউন্টারে থাকা রানু কাগজ দেখে বুঝতে না পারলে বলবে ঔষধ নেই আর তা নাহলে মনগড়া ঔষধ দিবে বলে জানান রোগীর সাথে আসা স্বজনরা। ফার্মাসিস্ট সামসুল আলম জানান জনবল না থাকায় একটু ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সকলকে।রোগীর পাশাপাশি আমাদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় এ বিষয় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply