রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট হাসপাতাল ও জাতীয় ক্যান্সার সরকারি হাসপাতালে দিন দিন দালালের উৎপাতে বেড়েই চলছে। এ সব দালালদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সেবা নিতে আসা সাধারন রোগীরা। যত্রতত্র দালাল ও ঔষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের উৎপাতে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে রোগীসহ সাধারন মানুষ। মহাখালী টিভি গেইট এ ৩টা সরকারি হাসপাতাল হওয়ায় আর এ সুযোগে আশেপাশে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা নামসর্বস্ব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এ সব ক্লিনিকের শত শত পোষা দালালদের কারনে সরকারি এ হাসপাতালে সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। এসব ক্লিনিকের দালালদের প্ররোচনায় নিঃস্ব হচ্ছে রোগী ও স্বজনরা। এসব দালালের বেশীরভাগ শিক্ষিত সুন্দর পোশাক পরিহিত, ৩/৪ জনার নেতৃত্বে চলে মহাখালীর দালাল চক্র, মাঝে মাঝে জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালে পুলিশ এসে দালাল ধরলেও ক্ষমতা ও টাকার জোড়ে ছাড়িয়ে রাখে এসব দালালদের, স্থানীয়রা জানান, সরকারী হাসপাতালের সামনে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত করা ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদের পৃষ্ঠপোষকতার কারনে এদের বিরুদ্বে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল, ঔষধকোম্পানীর প্রতিনিধিদের উৎপাতে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। হাসপাতালকে ঘিরে শত শত দালাল সক্রিয়। কমিশন ভিত্তিক কাজ করা এ সব দালাল চক্রের হোতারা, উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে অশিক্ষিত নিরিহ রোগীদের বাগিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তি ফি হতে শুরু করে রোগ নির্নয়ের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা ফি থেকে কমিশন পান দালালরা। প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়েই ডায়াগনস্টিক দালাল চক্র মাসে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে যাচ্ছে।
Leave a Reply