শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন

বিআরটিএ’ এর কে এই আব্দুল জলিল! দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০২২

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) মোঃ আব্দুল জলিল মিয়া বর্তমানে সহকারী পরিচালক হিসেবে পটুয়াখালীতে কর্মরত আছেন। মিরপুর বিআরটিএ তে মটোরযান পরিদর্শক থাকাকালীন অবস্থায় ২০১০-১১ সনে ব্যাংক পে অর্ডার ছাড়াই ফিটনেস দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায় এই টাকা দিয়ে মিরপুর ১৩ নাম্বার ভাষান্টেক, এভিনিউ-৫ ও ইস্টান হাউজিং এ নামে বেনামে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরী করেছেন। এইসব অপকর্মের কারণে আব্দুল জলিল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫-৬ বছর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক), সেগুন বাগিচা, ঢাকা কার্যালয়ে একটি মামলা হয়। এই মামলার পরে দুদুক সহ কাফরুল থানা পুলিশের একটি টিম জলিল সাহেবর ১৩ নাম্বারের বাসায় তল্লাশী চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ফিটনেস ও লাইসেন্স উদ্ধার করে। যেন তার বাসায়ই আর একটি বিআরটিএ। এত কিছুর পরেও সেই মামলায় তিনি গ্রেফতার হননি। তাদেরকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে উক্ত মামলা ধামাচাপা দিয়ে রাখেন। পরবর্তিতে তিনি প্রমোশন নিয়ে সহকারী পরিচালক হয়ে পটুয়াখালী জেলার বিআরটিএ তে যোগ দান করেন। সেখানে গিয়েও তার দুর্নীতি থেমে নেই। বিআরটিএ এর ফিটনেস অনলাইন হওয়ার পর পটুয়াখালী বসেও বড় বড় বাস পরিদর্শন না করে টাকা বিনিময়ে গাড়ির ফিটনেস দেন তিনি। অনুসন্ধানে জানা যায় বরগুনার এলজিইডির বেশ কিছুর গাড়ির ২০১৯-২০ সনের নিলাম হয়। নিলামে দেখা যায় ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১ ৩৮৪৯ ব্যাক্তি নামের গাড়িটি এলজিইডির নামে নিলাম হয়। ভুক্তভোগী উক্ত গাড়ির ক্রয়কৃত মালিক আব্দুল জলিল মিয়াকে গাড়িটির মালিকানা সম্পর্কে জানতে চাইলে ভুক্তভোগীকে বলে ‘আমার পরিদর্শনে ভুল ছিল, সম্ভব হলে আমি ঠিক করে দিবো কিন্তু এই পর্যন্ত উক্ত গাড়িটির কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা হয় নি। এছাড়াও বিভিন্ন জেলার এলজিইডি নামের গাড়ি বরগুনা এলজিইডি নিলামে দেখা যায়।। সে নিলাম বোর্ডে ছিলেন আব্দুল জলিল সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) পটুয়াখালী সর্কেল বিনয় কুমার ঘোষ মেকানিকাল ফোর ম্যান এলজিইডি মোঃ হোসেন আলী মীর সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী এলজিইডি, মোঃ নজরুল ইসলাম নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি বরিশাল বিভাগ। ইতি মধ্যে বিআরটিএ ঘুষ-দুর্নীতির দায়ে পাবনা জেলায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর একটি মামলা হয়। আব্দুল জলিল ও তার স্ত্রী মাহমুদা নাসরিন এর বিরুদ্ধে দুদুকের পাবনা জেলার উপ-পরিচালক খাইরুল হক এক প্রতিবেদনে বলেন অনুসন্ধানের পর আব্দুল জলিল ও তার স্ত্রী নামে মামলা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন তদন্ত শেষে অভিযোগ পত্র দেওয়া হবে। উক্ত অভিযোগ পত্রে তার স্ত্রীর নামে প্রায় ৪ কোটি টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। (প্রতিবেদন- ১)

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581