পার্বত্য বান্দরবান জেলা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম গত ২৭ জুলাই ও আজ পহেলা আগস্টের অতি ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্লাবিত এলাকার সার্বিক বিষয় সম্পর্কে স্থানীয় চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক প্রবল ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে আমার ইউনিয়নের মধ্যে অধিকাংশের ঘরবাড়ি, মাছের প্রজেক্ট, গবাদিপশুর খামার এবং আবাদি জমির প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে আংশিক ও সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৬০০ পরিবার, যার মধ্যে রয়েছে তুমব্রুস্ত পশ্চিমকূল, কোনার পাড়া, মাঝের পাড়া, উত্তর পাড়া, হিন্দু পাড়া, বাজার পাড়া এবং তুমব্রু বাজার ইত্যাদি। প্লাবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে বর্তমানে গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে ২১ টি পরিবার। প্লাবিত অঞ্চলগুলোতে থাকা মাটির ঘরগুলো ধ্বসে পড়েছে, যার কারণে অনেকে নিজ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন পাশাপাশি আশ্রয় নিয়েছেন পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন পরিষদ এবং তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে। বর্তমানে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অবস্থান করতেছেন মোট ৩৬ টি পরিবার। আশ্রয় নেওয়া পরিবারের ৪০০ সদস্যদের জন্য চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে রান্না করে খাবার পরিবেশন করতেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। অন্যদিকে চেয়ারম্যান বলেন সাম্প্রতিক প্লাবন আমার দেখা তুমব্রু এলাকার মানুষের জন্য চরম বিপাকের পাশাপাশি ভোগান্তিরও। পূর্বে এ রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় কখনো দেখা মেলেনি। প্লাবনের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে যাওয়ার রাস্তায় রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প স্থাপন, অপরিকল্পিত পাহাড় নিধন, অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি তৈরি, বেড়িবাঁধ তেরী এবং বাংলাদেশ মায়ানমার মধ্যকার নদী ঘেঁষে মায়ানমার সরকারের সীমানা প্রাচীর তৈরি ইত্যাদি। সবশেষে চেয়ারম্যান প্লাবন রোধকল্পে সকলকে দলমত নির্বিশেষে একযোগে এসে কাজ করার আহবান জানান।
Leave a Reply