করোনাভাইরাস বিপর্যস্ত রূপগঞ্জ । থেমে গেছে অর্থনীতির চাকা। বাড়ছে শ্রমিক অসন্তোস। বকেয়া বেতনের অন্তিম গার্মেন্টকর্মীরা বিক্ষোভ করেছে। এসময় তারা সড়কের উপর টায়ার জ্বেলে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ এসে বাধা দিলে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ শ্রমিক আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) দুপুরের দিকে উপজেলার (ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক) তারাব পৌরসবার বরপা এলাকায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসয় উভয় দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ জটে আটকা পড়ে পণ্যবাহী ট্রাকসহ ব্যক্তিগত গাড়ি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, অন্তিম নিটিং ডাইং এন্ড কমপোজিট কারখানার দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। তারা কারখানার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে প্রোডাকশন ম্যানেজারকে মারধরও করে। এদিন দুপুর থেকে শ্রমিকরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবস্থান নিলে মহাসড়কে বিভিন্ন খাদ্য পণ্যবাহি যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এক মাসে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।
বিক্ষোভরত শ্রমিকদের দাবি, মালিকপক্ষ কয়েকবার আশ্বাস দিয়েও দুই হাজার শ্রমিকের দুই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করছে না। বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের বেতন দেয়ার কথা ছিল। না দেয়ায় বাধ্য হয়ে আবার আন্দোলনে নামেন তারা।
এদিকে শ্রকিকদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ এবং রূপগঞ্জ থানা পুলিশ শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে দফায় দফায় ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ শ্রমিক আহত হন বলে দাবি করেন শ্রমিকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন জানান, অন্তিম নিটিং ডাইং মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে শ্রমিকদের আশ্বাস দিলেও তারা মানেনি। পরে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে রাস্তা থেকে সড়িয়ে দেয়। তবে কেউ আহত হয়েছে বলে তার কাছে অভিযোগ আসেনি।
মালিক পক্ষ দাবি করছে শ্রমিকদের বেতন মোবাইলের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। ত্রুটির কারণে টাকা যাচ্ছে না।
Leave a Reply