সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার হত দরিদ্র বর্গাচাষী মাহমুদুল হাসান এর মেয়ে মাহমুদা খাতুন । নানা প্রতিবন্ধকতা পেড়িয়ে তিনি ঢাকা বিশ্বাবদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন । কিন্তু অর্থের অভাবে রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে তার ইচ্ছে পুরণের পথ । মাহমুদার বাড়ী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের চন্ডিদাসগাঁতী গ্রামে । মা শিল্পী খাতুন গৃহিনী ।তার পরিবারে পাঁচ জন সদস্য । জড়াজীর্ণ একটি বাড়ীতে বসবাস ।
সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মাহমুদুল হাসান । তিন ভাই বোনের মধ্যে মাহমুদা সবার বড় । তিনি ছোট বেলা থেকেই মেধাবী । জেডিসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ পেয়ে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছেন । ২০১৭ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ পান এবং ২০১৯ সালে সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজ হতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ হতে গোল্ডেন জিপিএ ৫.০০ পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছেন তিনি ।
ধারদেনা করে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করালেও ঢাকা শহরে থাকা, খাওয়া ও শিক্ষার ব্যয় যোগাতে অপারগ দরিদ্র বর্গাচাষী মাহমুদুল হাসান ।মাহমুদা বলেন অভাব অনটনের কারণে তার পরিবার হতে বারবার পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে চেয়েছে কিন্তু প্রতিটি স্তরেই ভাল রেজাল্ট করায় এবং বৃত্তি পাওয়ায় সকল প্রতিকুলতা পাড় হয়ে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরেছে । পিতার অভাবের সংসারে পথচলা কখনই মসৃণ ছিলনা । পড়াশোনা শেষ করে সে এলাকার মানুষের ও দেশের সেবা করতে চান, কিন্তু টাকার অভাবে তার সেই স্বপ্ন থমকে যেতে বসেছে ।
Leave a Reply