মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ন

সেই ট্রাফিক সার্জেন্ট চয়ন নাইডুকে সাময়িক বহিষ্কার।

মোঃ জালাল উদ্দিন।
  • আপডেট টাইম রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০২০

সিলেট নগরের চৌহাট্টায় আলোচিত বোমাসদৃশ্য বস্তু শনাক্তের ঘটনায় সিলেট মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট চয়ন নাইডুকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ বলেন,‘যার মোটরসাইকেলে ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’ পাওয়া গেছে তিনি তার দায়িত্বরত এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এছাড়া তার মোটরসাইকেলে এভাবে একটি বোমাসদৃশ বস্তু রেখে দেওয়া হলেও বিষয়টি তিনি বুঝতে পারলেন না, এসব কারণেই তাকে বহিষ্কার করা হয়। গত ৬ তারিখেই তাকে বহিষ্কার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘মোটরসাইকেলে ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’ রাখার ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তার কোনো দায়িত্ব অবহেলা তদন্তে উঠে আসলে তিনি বিভাগীয় শাস্তি ভোগ করবেন।’

গত বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) রাতে নগরের সিলেটে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট চয়ন নাইডুর মোটরসাইকেলে বাঁধা বোমা-সদৃশ বস্তু ঘিরে আতঙ্কের ২২ ঘণ্টা পর জানা যায় বস্তুটি বোমা নয়। বস্তুটি হলো গ্রাইন্ডিং মেশিন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ও ধ্বংসকরণ দল এটি নিশ্চিত করে। এদিকে এঘটনায় সার্জেন্ট চয়ন নাইডুকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ।

এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় চৌহাট্টা এলাকায় (পূর্বের পুলিশ চেকপোস্টের সামনে) ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট চয়ন নাইডু তার কালো রংয়ের পালসার (ঢাকা মেট্রো ১৪-৯২৭০) মোটরসাইকেল রেখে চশমা কিনতে একটি দোকানে প্রবেশ করেন। দোকান থেকে বের হওয়ার পর সন্দেহজনক ডিভাইস লাগানো দেখে তিনি বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এই ডিভাইস দেখে তাদেরও সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটকে জানানো হলে রাত সাড়ে আটটার দিকে তারা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে। তবে তারা এসময় অভিযান চালায়নি। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে আসে। বেলা আড়াইটার দিকে দলটি মোটরসাইকেল থেকে ‘বোমাসদৃশ বস্তুটি’ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযান শেষে বিকেল চারটার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করে জানানো হয় এটি বোমা নয়, এটি একটি গ্রাইন্ডিং মেশিন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাহাত বলেছিলেন, ‘ভুলবশত কিংবা কেউ আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে যন্ত্রটি রেখে যেতে পারেন।’

এবিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার শনিবার বলেন,‘ ‘আমাদের তদন্ত চলছে। আশা করছি দ্রুতই তদন্ত শেষ হবে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581