দেড় বছর আগে শফিকুল ইসলাম জ্যোতি ও ডা. তনিমা ইয়াসমিন পিয়াশার বিবাহ হয়। আগামী ২৩ জানুয়ারি নববধূকে ঘরে তুলে নেয়ার কথা ছিল।
শুক্রবার রাতে শহরের আত্মীয়স্বজনকে দাওয়াত দিতে বের হয়েছিলেন পরিবারের সাত সদস্য। বর শফিকুল ইসলাম জ্যোতি নিজেই প্রাইভেটকারের চালক ছিলেন। রাত ১টার দিকে বাসায় ফেরার পথে শহরের বিমান অফিস মোড়ে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- যশোর শহরের লোন অফিসপাড়ার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী ডা. তনিমা ইয়াসমিন পিয়াশা (২৫), শহরের রবীন্দ্রনাথ সড়কের (আরএন) সুমন ইসলামের স্ত্রী তানজিলা ইয়াসমিন ইয়াশা (৩০), একই এলাকার মনজুর হোসেনের স্ত্রী তিথী (৩৫)। পিয়াশা ও ইয়াশা আপন দুই বোন। আর তিথি তাদের খালাতো ভাইয়ের স্ত্রী। আহতরা হলেন- নিহত তিথীর ছেলে মাশিয়াব (৪) ও তাদের আত্মীয় হৃদয় (৩০) ও বর শফিকুল ইসলাম জ্যোতি (৩২)। নিহতদের স্বজন রোহান উদ্দিন জানান, দেড় বছর আগে ডা. তনিমা ইয়াসমিন পিয়াশার সঙ্গে শফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। আগামী ২৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন বউকে ঘরে তুলে নেবে। প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বর শফিকুল ইসলাম জ্যোতি নিজেই গাড়ি চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দাওয়াত দিতে বের হন। রাত ১টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে শহরের বিমান অফিস মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। আরও চারজন আহত হন। একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. কাজল কান্তি মল্লিক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত তিথীর স্বামী মঞ্জুর হোসেন, শুক্রবার রাতে শফিকুল ইসলাম জ্যোতি প্রাইভেটকার নিয়ে আমাদের বাসায় আসেন। শহরে ঘুরতে বের হওয়ার কথা বলে গাড়িতে আমার স্ত্রী ও সন্তান গাড়িতে তুলে নেন। সেই গাড়িতে খালাতো দুই বোনও ছিলেন। তারা শহরের পালবাড়ি, আরবপুর এলাকায় আলোকসজ্জা দেখতে ও বিয়ে দাওতায় দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাইভেটকারচালক শফিকুল ইসলাম জ্যোতি পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন।
Leave a Reply