যশোরের চৌগাছায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইদের হামলায় আহত মুক্তার হোসেন ড্রাইভার (৫৫) মারা গেছেন। শুক্রবার ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মুক্তার হোসেন উপজেলার মসিয়ূরনগর গ্রামের জাহাবক্সের ছেলে। গত ৩০ মার্চ জমিজমা নিয়ে চাচাতো ভাইদের সাথে মারামারিতে তিনি মারাত্মক আহত হয়ে প্রথমে চৌগাছা ৫০ শয্যা ও পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মশিউরনগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের একখন্ড জমি নিয়ে তার চাচাতো ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৩০ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে ৬ টায় আব্দুল মান্নান ওই জমিতে ভাই ও ভাতিজাদের সাথে নিয়ে পাটের বীজ বপন করছিলেন।
এতে বাঁধা প্রদান করেন প্রতিপক্ষ চাচাতো ভায়েরা। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয় উভয়ের মধ্যে। একপর্যায়ে চাচাতো ভাই আনিছুর রহমান, মিজান, শরিফুল, রিংকু, জনি, আরিফ, তারিখ, আলমগীর ও জসিমের সাথে উভয়পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে এসময় দেশীয় অস্ত্র দা, রড, কোদালের আঘাতে গুরুতর আহত হন জমির মালিক আব্দুল মান্নান (৫২) তার ভাই মুক্তার হোসেন (৫৫), মিন্টু (৪২) ইয়াকুব আলী (৫২) ও ইয়াকুবের ছেলে শিমুল হোসেন (৩০)। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চৌগাছা ৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। আহত আব্দুল মান্নান, মুক্তার হোসেন, ইয়াকুব আলীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন মুক্তার হোসেনের শারিরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল হোসেন জানান, জমি নিয়ে দ্বন্দে এ ঘটনা ঘটেছে। মুক্তার হোসেন চৌগাছা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী রয়েল পরিবহনের চালক। করোনা ভাইসের কারনে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় তিনি বাড়িতে ছিলেন। চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব বলেন, হামলার ঘটনার দিনই থানায় মামলা হয়েছে। হামলায় জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুক্তার হোসেন মারা যাওয়ার বিষয়টি ওই মামলায় অর্ন্তভূক্ত করা হবে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
Leave a Reply