যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) তুলনামূলক একটি নবীন বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও শিক্ষা ও গবেষণায় বাংলাদেশে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছে। উন্নতি হলেও তার নেপথ্যে রয়েছে অনিয়মের নানা জাল। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি মহল তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মরিয়া হয়ে কাজ করছে। যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এই দূর্নীতির বিষয়ে জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত একটি তালিকায় বিভিন্ন দপ্তর/বিভাগের বিভিন্ন পদে দৈনিক মজুরীভিক্তিক কর্মরত কর্মচারীর সংখ্যা ৩২ জন ( সংযুক্তিঃ০১) এর মধ্যে উপাচার্যের বাংলোতে অফিস সহায়ক পদে কামরুল জামান (সিরিয়াল নম্বর ০৭),সহকারী কুক পদে পারভীন (সিরিয়াল নাম্বার ২৩) এবং মালী পদে মোঃ মামুন হোসেন (সিরিয়াল নাম্বার ২৬) কর্মরত আছেন বলে দেখা যাচ্ছে ( সংযুক্তি ০১)। কিন্তু ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের দৈনিক মজুরীভিক্তিক কর্মচারীদের হাজিরা ও বিলে দেখা যাচ্ছে মোছাঃ রিজিয়া বেগম নামে একজন ব্যক্তির নাম ও সাক্ষর ব্যবহার করে দৈনিক ৩৮০.০০ টাকা হারে ২২ দিনের বেতন বাবদ ৮,৩৬০ টাকা তোলা হয়েছে উপাচার্য মহোদয়ের দপ্তর কর্তৃক (সংযুক্তি ০২)। দৈনিক মজুরীভিক্তিক কর্মচারীদের তালিকা অনুযায়ী অন্য আরেকটি চিঠিতে দেখা যায় রিজিয়া বেগম নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেও কর্মরত নেই। উপাচার্যের একান্ত সচিব (পিএস) জনাব মাসুম বিল্লাহ”র সাক্ষরে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের বেতন রিজিয়া বেগম নামক ব্যক্তির বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারী টাকা তোলা হয়েছে। তাহলে কে এই রিজিয়া বেগম আর কেন উপাচার্যের একান্ত সচিব এই অর্থ উত্তলন করছেন? তাহলে উপাচার্যের পিএস সাক্ষরিত রিজিয়া বেগমের বেতন হিসেবে যে টাকা উত্তলন করা হয়েছে উপাচার্য মহাদয় অথবা তাঁর দপ্তরের কে বা কারা এই টাকাটা ভাগ বাঁটোয়ারা করে নিচ্ছেন? কে এই রিজিয়া বেগম, যার কোন অস্তিত্ব উপাচার্যের বাংলোতে কখনোও ছিলো না বলে উপাচার্যের দপ্তরে কর্মরতরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।কিন্তু পরিতাপের বিষয়, রিজিয়া বেগমের নামে বেতন এখন ও চলমান। উল্লেখ্য রিজিয়া খাতুন নামে একজন ব্যক্তি শেখ হাসিনা ছাত্রীহলে সহকারী বাবুর্চি হিসেবে আছে যার বেতন হল থেকেই সরবরাহ করা হয় এবং রিজিয়া খাতুন ডিসেম্বর, ২০২০ মাসে শেখ হাসিনা ছাত্রী হল থেকে ৪৮০৫/- টাকা বেতন উত্তলন করেছেন। পারভীন এর সাথে কথা বলে জানা যায় রোজার ঈদের পরে কোন যুক্তিসংগত কারণ ছাড়াই বিনা নোটিশে উপাচার্যের ঢাকাস্থ বাসা থেকে চাকুরী (সহকারী কুক) থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। গণমাধ্যম কর্মীরা এই ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে কাজ করে চলেছে অবিরাম।
Leave a Reply