মাদক এমন একটি দ্রব্য আছে, যার দ্বারা একটি দেশ, জাতি, সমাজ, সংসার,মানবতা সব কিছুকে শেষ করে দিতে পারে ঠিক ভেজাল ও মাদক দুটো এক হলে এই সমাজের যুবক বৃদ্ধ আর কেউ ভালো থাকতে পারে না যা দেশ ও জাতির জন্য খুবই ভয়ঙ্কর তাই আসুন আমরা সবাই জেগে উটি, শুধু মাদক নয় আমাদের এই বাংলাদেশ আরেকটা জিনিস আছে যেটা বাংলাদেশের সকল খাদ্যদ্রব্য ঔষধপত এবং আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্রে ছোট বড় সকল কোম্পানিগুলো কিছু না কিছু ভেজাল মিশাচ্ছে তাই আসুন আমরা সকল সচেতন মানুষেরা এইসব জিনিসপত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকি, এবং সবাই একসাত হয়ে এদের প্রতিরোধ করি প্রশাসনের মাধ্যমে, তাই সবাই বলুন মাদক মুক্ত দেশ চাই ভেজালমুক্ত মুক্ত সমাজ চাই। একটি রাস্ট্র বা জাতি ধ্বংস করার জন্য এখন আর পারোমানবিক বোমার প্রয়োজন হয়না এলাকা এলাকায় মাদকে ও ভেজালের জোন স্থাপন করে দিলেই একটি রাস্ট্র সহজেই ধ্বংস হয়ে যাবে। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার এবং ভেজাল কৃত সকল জিনিসপত্র এটা আমাদের একটি জাতীয় সমস্যা। এর অপব্যবহারের শিকার হচ্ছে আমাদের যুব সমাজ। এর ভয়াবহ পরিণতি থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা এমনকি আমাদের শিশুরাও। মাদকের করাল গ্রাস থেকে নিরাপদ নয় দেশের ছাত্র ও যুব সমাজ। একটি দেশের যুব সমাজ যদি মাদকের কাছে পরাজিত হয় তবে তা দেশের জন্য ডেকে আনে মারাত্মক পরিণতি। মাদক ধীরে ধীরে একটি সমাজকে পঙ্গু করে দেয়। বাংলাদেশ সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিড়ো টলারেন্স থাকলেও কোনভাবেই মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশে মাদকের বিস্তার ঘটে মূলত আশির দশকে এবং নব্বই দশকে এটি সর্বগ্রাসী রূপ নেয়, বিশেষ করে ফেন্সিডিলের কারণে। ভারত থেকে আসা এই কাশির সিরাপ মাদকসেবীদের মধ্যে এতটাই প্রভাব বিস্তার করে যে, ১৫-২০ টাকার সিরাপ পাঁচ ছয়শো টাকায়ও বিক্রি হত। আমি আমার ছোট্ট জেলা শহরেই দেখেছি, অত্যন্ত প্রতিভাবান আর সম্ভাবনায় অসংখ্য তরুণ কীভাবে এই ফেন্সিডিলের চক্করে পড়ে ধ্বংস হয়েছেন। কৈশোরে আমরা আইডল মানতাম, এরকম একাধিক তরুণকে পরে দেখেছি উন্মাদের মতো রাস্তায় ঘুরছেন। পরে জেনেছি, এর নেপথ্যে রয়েছে ফেন্সিডিল। সেই ফেন্ডিডিলের জায়গা এখন দখলে করেছে প্রতিবেশী আরেক দেশ মিয়ানমার থেকে আসা লাল ট্যাবলেট ‘ইয়াবা’। কোড নাম হিসেবে অনেকে এটিকে ‘বাবা’ বলে ডাকে। দেখা যাচ্ছে, গত কয়েক দশক ধরে যে দুটি মাদকের ছোবলে আমাদের তরুণ ও যুবসমাজ ধ্বংস হয়েছে, তার মধ্যে প্রধান দুটি মাদকের আগমন আমাদের প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্র থেকে। শোনা যায়, শুধুমাত্র বাংলাদেশের বাজার টার্গেট করেই ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর ফেন্ডিডিল ও ইয়াবার তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছিল। আমাদের দেশে এ মুহূর্তে ইয়াবা, গাঁজা, বিভিন্ন প্রকারের মদ, নানারকম কাশির সিরাপ ও ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে তৈরি তরল মাদকের চাহিদা বেশি। হালে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় তৈরি হয়েছে ‘সিসা বার’ যেখানে ধনীর সন্তানরা দল বেঁধে হাজির হচ্ছেন। প্রাচীনকালের হুঁকার নগর সংস্করণকে বলা হচ্ছে সিসা। তামাক ও আফিমের সঙ্গে কথিত ফলের নির্যাস মিলিয়ে হুঁকা টানা হয়। গণমাধ্যমের খবর বলছে, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারাও এসব বারে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। কেননা এটি মাদকের তালিকায় না থাকায় সিসার নেশায় আসক্ত কিংবা তা বেচাকেনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে, মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনটি বেশ শক্ত। কিন্তু তারপরও কেন মাদক নির্মূল হচ্ছে না বরং মাদক ব্যবসায়ীরা নিত্যনতুন তরিকা আবিষ্কার করছে। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একশ্রেণির কর্মকর্তা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা পান। সেইসাথে রাজনৈতিক নেতাদের একটি অংশ মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দেন। বিশেষ করে মাদক পাচারের রুটগুলো নিরাপদ রাখতে তারা ভূমিকা রাখেন। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় ইয়াবা মদ ফেন্সিডিল গাজাসহ মাদকের ব্যবসা রাজধানী থেকে গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সব সময়ই এটা বলা হয় যে, আইনটি কেমন বা এর দ্বারা জনমানুষের কী উপকার হবে, তার পুরোটাই নির্ভর করে প্রয়োগকারীর নিয়তের উপর।অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যই যদি থাকে অভিযানের নামে মানুষকে ফাঁসানো বা মোটা অংকের টাকা আদায়, তাহলে আইনটি কাগজপত্রেই থেকে যাবে। কালেভদ্রে কিছু মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও রাঘববোয়ালরা স্পর্শের বাইরেই থেকে যাবে।আরেকটি সমস্যা তদন্ত ও বিচারিক দুর্বলতা।বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীও অনেক সময় গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন পরেই জামিনে বেরিয়ে চলে আসে। দেশে ভয়াবহ মাদকের বিস্তার, অথচ মাদক মামলায় কোনো রাঘব বোয়ালের বড় ধরনের সাজা হয়েছে, তার নজির নেই। যে কারণে মাদকের বিরুদ্ধে চলমান এই অভিযানকে সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানাচ্ছে। সেইসাথে নাগরিক সমাজের তরফে এই আহ্বানও রয়েছে যাতে মাদক নির্মূলের নামে কোনো নিরীহ লোক ভিকটিম না হয় বা এই অভিযানটি যাতে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত না হয়। সর্বশেষে যেটা বলতে চাই সেটা হলো এই মাদক নির্মুল করতে হলে এলাকাভিত্তিক কমিটি ঘটন করতে হবে যারা দল-বল নির্বিশেষে আগামি প্রজন্ম কে এই ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করার জন্য হাতেহাত মিলিয়ে কাজ করতে পারবে।
Leave a Reply