বাগেরহাটের ফকিরহাটে উপজেলা প্রেসক্লাবে সোমবার সকাল ১১ টায় কাঠালতলা গ্রামের আবুল কালাম মল্লিক এর স্ত্রী তফুরণ নেছা,নিজে প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমার প্রতিবেশি মোঃ ফিরোজ রহমান এর সাথে দির্ঘদীন যাবৎ বাগেরহাট জেলা জজ কোর্টে জায়গা জমি সংক্রান্ত একটি মামলা চলমান রয়েছে।গত ১৯/০১/২০২০ ইং তারিখ ঐ সম্পত্তির সকল কার্যাদী স্থগিত রাখার আদেশ প্রদান করেন মহামান্য আদালত।
আদালতের আদেশ অমান্য করে পরবর্তিতে বিবাদী পক্ষ মোঃ ফিরোজ ২০১৭ সালে শাহীনা বেগমের মাধ্যমে জবাবের কাগজ দিয়ে সম্পত্তির দাবী করে। উক্ত জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আমার পক্ষে রায় ঘোষনা করে।রায় ঘোষনার পরে আমি জেলা জজ কোর্টে আমি আপিল দিই,মহামান্য আদালতে আমার সেই আপিল মঞ্জুর হয়। সেই প্রেক্ষিতে মহামন্য আদালত রায় স্থগিত করে স্টে অর্ডার প্রদান করেন। পরে শাহীনা বেগম ও তার ছেলে নান্টু শেখ ও মিন্টু শেখ ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের এস আই আবু সুফিয়ানকে আর্থিক উৎকোচ প্রদান করে উক্ত মামলাকৃত জমিতে বসতবাড়ী নির্মান ও লক্ষাধীক টাকার গাছ কর্তন করিয়া বিক্রয় করিয়াছে। আমি বিষয়টি ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহিত বারংবার ন্যায় বিচার প্রার্থনা করিয়াও কোন সুফল পাইনি। অদ্যবদি আমি বিবাদী পক্ষ এবং এস আই আবু সুফিয়ানকে রায়ের স্থগিত আদেশ ও পুনরায় আপিল সম্পর্কিত নথিপত্র দেখানোর পরো বিবাদী পক্ষ আমাকে ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্নভাবে ভয়ভিতী ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। পরবর্তিতে মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করতে আসলে এস আই আবু সুফিয়ান কৌশলে মামলার ভয়ভিতী দেখালে আমি থানা থেকে বের হয়ে চলে আসি। এর একদিন পরে এস আই আবু সুফিয়ান বিবাদী পক্ষের বাড়ীতে গিয়ে উচ্চ স্বরে বলতে থাকেন,আমি তোমাদের ঘর (বিবাদী পক্ষ) করিয়ে দিয়ে ছাড়বো,দেখি কে ঠেকায়।গত ১৯/০১/২০২০ ইং তারিখ বাগেরহাট জেলা জজ কোর্টের জেলা জজ আব্দুর রহমান গাজী ১৫১ ধারায় রায়ের সকল কার্যকারিতা স্থগিত আদেশ দিয়েছেন।
মহামান্য আদালতের উক্ত আদেশ অমান্য করিয়া শাহীনা বেগম বহাল তবিয়াতে জোর পৃর্বক বাড়ি নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে মহামান্য আদালত এবং আইনের প্রতি পূর্ন শ্রদ্ধা রেখে নিরুপায় হয়ে ফকিরহাট উপজেলা পেসক্লাবের সকল সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপস্থাপন করিলাম। আশা রাখি আপনাদের সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরে এনে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আমাকে সঠিক ন্যায় বিচার পাওয়ায় সহযোগীতা করবেন। এ ব্যাপারে ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাইদ মো: খাইরুল আনাম বলেন আদালতের মামলা চলাকালীন আমরা সেখানে কোন সিধান্ত দিতে পারি না। আর এস আই আবু সুফিয়ান এর আর্থিক উৎকোচ গ্রহনের বিষয়টি সঠিক নয়।
Leave a Reply