জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যশোরে সহস্রকণ্ঠে জাতীয় সংগীত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সারাদেশে একযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষণগণনার উদ্বোধন পর্বের অনুষ্ঠান রওশন আলী মঞ্চে সরাসরি বড়পর্দায় সম্প্রচার করা হয়। এতে উপস্থিত সহস্রাধিক নাগরিকেরা যথাযথভাবে জাতীয় সংগীতে অংশ নেয়।
১০ জানুয়ারি ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এদিন থেকে থেকে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হলো। যশোরের ক্ষণগণনার ডিজিটাল প্রচার বোর্ড টাউন হলে মাঠে স্থাপন করা হয়েছে। উদ্বোধনের পরে সেখানে গণনার সময় প্রদর্শন শুরু হয়।
এদিন, দুপুরের পরে জেলার সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ কালেক্টরেট চত্বর থেকে এ উপলক্ষে একটি প্রচার শোভাযাত্রা করে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ফুলের শ্রদ্ধা জানিয়ে টাউন হল ময়দানে আসে। এছাড়া শহরের আরো তিনটি জায়গা থেকে প্রচার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে অংশগ্রহণকারীরা টাউন হল মাঠে উপস্থিত হন।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও শতকণ্ঠে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ সংগীত পরিবেশন করা হয়। স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা এ গান পরিবেশন করে। সুরকার ও শিল্পী সুকুমার দাস শতকণ্ঠের পরিবেশনায় দলনেতা হিসেবে অংশ নেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জমান পিকুল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এসএএম রফিকুন্নবী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, মুক্তিযোদ্ধা রাজেক আহমেদ, এএইচএম মুযহারুল ইসলাম মন্টু, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. রবিউল আলম, মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খান পলাশ, মুক্তিযোদ্ধা অশোক কুমার রায়, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।
এরপর স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা আবৃত্তি, দেশের গান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। সুরবিতান, চাঁদের হাট, সুরধুনী, তির্যক, পুনশ্চ, নৃত্যবিতান, শেকড়, ভৈরব-এর শিল্পীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
শেষ পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জমান পিকুল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের উদ্বোধন উপলক্ষে এ দিন সন্ধ্যায় নয়নাভিরাম আতশবাজি পোড়ানো হয়।
Leave a Reply