একটি করে দিন যাচ্ছে,ততই প্রানঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। প্রাণ হারাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। ইতিমধ্যে পুরো জেলাজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রশাসন। প্রানঘাতি করোনা প্রতিরোধে প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের জনসচেতা সৃষ্টির পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় করোনা প্রতিরোধে বগুড়ার ধুনট থানা পুলিশের পক্ষ থেকে শহরে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ারে রয়েছে ২টি মাইক। ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ এবং লোকজনকে ঘর থেকে বের হওয়া রোধ করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ। শহরের মাঝখানে চারমাথা এলাকায় প্রায় ২০ ফুট উচু বাঁশের তৈরী ওয়াচ টাওয়ারে নিরাপদে অবস্থান নিয়ে সার্বক্ষণিক একজন পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ওয়াচ টাওয়ারের ওপর থেকে পুরো শহর নজরদারিতে রেখে মাইকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক নির্দেশনা প্রচার করছেন। থানা পুলিশের অভিনব এই পদক্ষেপ জনসচেতনতায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জানা গেছে, ওয়াচ টাওয়ারের পাশাপাশি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া উপজেলার প্রবেশ পথে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে কাউক শহরে প্রবেশ বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া জরুরি সেবার আওতায় থাকা ঔষুধ, খাদ্য, জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন, রপ্তানি পণ্যবোঝাই পরিবহন ও রোগী সমেত অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন ঢুকতে ও বের হতে দিচ্ছেন না পুলিশ। ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি সব প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে এই কড়াকড়ির মধ্যেও নানা ছুতোয় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছেন অনেকে। আবার কেউ বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হচ্ছে। প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে মানুষের চলাচলও করেছেন সীমিত। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে পায়ে হেঁটেও কাউকে প্রবেশ ও বের হতে দেয়া হচ্ছে না। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, সরকারের নির্দেশনাও মানতে হবে সবাইকে। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে কাউকে শহরে প্রবেশ বা বের হতে দিচ্ছি না। কষ্ট হলেও নির্দেশনা মেনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য আহ্বান ও সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করছি। শহরে ওয়াচ টাওয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো চেকপোস্টের মাধ্যমে নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে।
Leave a Reply