মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন

বগুড়ার রানীরহাটে বসুন্ধরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভূয়া প্যাথলজি রিপোর্ট প্রদান!

 রায়হান কবির রবিনঃ বগুড়া জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
  • আপডেট টাইম বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০

বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার রাণীরহাট নামক স্থানে বসুন্ধরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান বেশ কিছু দিন যাবৎ, প্রফেসর ডাঃ এ,কে,এম রনক হোসেন এর সীল ও সাক্ষর জাল করে একাধিক প্যাথলজি রিপোর্ট প্রদান করে আসছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বসুন্ধরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাদের প্যাথলজি রিপোর্টে যে ডাক্তারের সীল ও সাক্ষর জাল করেন, তিনি একজন সুনামধন্য ডাক্তার হিসাবে, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে প্যাথলজি বিভাগে সুদক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন, জানা গেছে প্রফেসর ডাঃ রনক হোসেন, এম,বি,বি,এস ও প্যাথলজিষ্টে পি,এইচ,ডি করা। তারই নাম ভাঙ্গছে এই বসুন্ধরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি। বিষয়টি বিস্তারিত জানার জন্য ডাঃ রনক এর সাথে দেখা করতে চাইলে, তিনি করোনা পরিস্থিতির কারণে দেখা করতে অস্বীকার করেন। পরে তিনি মুঠোফোনে গন-মাধ্যম কর্মীদেরকে জানান, সেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার সিল এবং স্বাক্ষর ব্যবহার করার বিষয়টি এর আগেও তিনি শুনেছেন এবং সেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোঃ ফিরোজ কে ডেকে তার সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করতে নিষেধও করেছেন । তার বক্তব্য অনুযায়ী ফিরোজ তার কথা অমান্য করে হরহামেশায় তার (ডাঃ রনকের) সিল এবং স্বাক্ষর জালিয়াতি করে, রিপোর্ট প্যাডে প্যাথলজিস্ট এর জায়গায় ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে রোগীদের রিপোর্ট প্রদান করে প্রতারণা করে আসছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের কে আরো বলেন, আমার সিল এবং স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ব্যবহার বন্ধের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। অন্যদিকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে বিভিন্ন সুনামধন্য ডাক্টারদের নাম লেখা থাকলেও যোগাযোগ করে যানা গেছে, সেই ডাক্তাররা বেশিরভাগই বসেন না ঐ ডায়াগনস্টিকে। সরেজমিনে গিয়ে যানা যায় সেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক নিজেই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসাবে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগে বর্তমান কর্মরত আছেন। আরো জানা গেছে ফিরোজ ডাক্টারের এ্যাফরোন পরে শজিমেক এর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে, রোগীদের হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের লোক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিব্রত করে ব্লাড, প্রসাব সহ অন্যান্য স্যাম্পল কালেকশন করেন, এবং তার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বেতন ভুক্ত সাকিল নামের এক কর্মচারির মাধ্যমে পরীক্ষা করে ডাঃ রনকের সিল এবং স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করেন। যা একজন হাসপাতালে সরকারি কর্মচারী হিসেবে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং আইন বিরোধী কাজ হিসেবেও গণ্য হয়। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করে আসছেন প্রতারক মোঃ ফিরোজ। ফিরোজের সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি প্রথমে তার দায় স্বীকার করলেও পরে অস্বীকৃত জানান। এলাকাবাসী এই বসুন্ধরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক, প্রতারক ফিরোজকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়ার জোড় দাবি জানান এবং প্রতিষ্ঠানটি সীল গলা করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581