কে এই প্রতারক বাহাদুর! সরকারি প্রতিষ্ঠানে জড়িত না থেকেও নিজে সরকারি কর্মকর্তা ও দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকার জাল আইডি কার্ড তৈরি করে সাধারন মানুষদের সাথে বিগত কয়েক বছর যাবত প্রতারনা করে আসছে। বিভিন্ন পত্রিকায় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনেক নারীর সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আছমা নামের একজন নারীর কাছ থেকে পত্রিকায় চাকুরী দেওয়ার নাম করে তার কাছ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই হলুদ সাংবাদিক বাহাদুর। চাকুরী না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে টাকা দেয়ার কথা বলে আসমাকে ডেকে নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার দৃশ্য মেবাইলে ভিডিও ধারণ করে এবং তার স্মার্ট মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়। এ বিষয়ে মুখ খুললে মোবাইল ফোনে ধারণ করা লাঞ্ছিতের ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবেন বলে হুমকি দেয়।
ময়মনসিংহ সদরে মাসকান্দা গ্রামের ১৫ নং ওয়ার্ডের সানজিদা আক্তার সাথী নামের এক নারীকে চাকুরী দেবার নাম করে তার কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়, চাকুরী না পেয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে এই নারী শাররীকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়।
এই হলুদ সাংবাদিক বাহাদুর খান বেকার, সহজসরল সুন্দরী মেয়েদেরকে টার্গেট করে লোভনীয় অফারের চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে অবশেষে শারীরিক নির্যাতন করাই তার পেশা।
প্রতারক বাহাদুর এক-এক সময় এক-এক মিডিয়া ও মানবাধিকার সংগঠনের কার্ড ব্যবহার করে এবং নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সরকারি আমলাদের মধ্যে বেশিরভাগই তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে প্রতারণা।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, বিএনপি জামাত সরকার ক্ষমতা থাকা কালীন এই প্রতারক জামাত বিএনপির সকল কর্মকান্ডে জড়িত থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাদা আদায় ও মানুষের সাথে প্রতারণা করতেন।
তার গোপন আস্তানায় সুন্দরী মেয়েদেরকে চাকুরী দেয়ার নাম করে নিয়ে গিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়েদের সাথে থাকা টাকা পয়সা মোবাইল ফোন সহ সবকিছু রেখে ছেড়ে দেয়। এই প্রতারক বাহাদুরের বিরুদ্ধে ভোলাসহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও নারী কেলেংকারীসহ একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে।
এই বাহাদুর সারাদিন নেশার ঘোরে পড়ে থাকে, জানা যায় সে বিভিন্ন মিডিয়ার পাশাপাশি বেশিরভাগই দৈনিক শ্রমিক নামের মিডিয়ার কার্ড গাড়ীতে ব্যবহার করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার কিছু সাংবাদিক নামধারী সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে গাড়ী দিয়ে মাদক পাচার করে।
প্রতারক বাহাদুরের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, কিছু অসাধু সম্পাদকের ছত্রছায়ায় এসব প্রতারকরা থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরা ছোয়ার বাইরে। আর এভাবেই একদিন এই সকল প্রতারকরা হয়ে ওঠে সাহেদ করিমের মতো গডফাদার।
তাই ভুক্তভোগীরা ও সমাজের সচেতন মহলরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন এবং অতিদ্রুত এই প্রতারককে গ্রেফতারে দাবী জানান।
Leave a Reply