ইমাম হোসেন হিমেল স্টাফ রিপোর্টার।
৩০ বছরের ভোগ দখলীয় জমি দখল করে নেয়ার শংঙ্কায় ভুগছেন কলাপাড়া ওয়ালমিল মসজিদের মুয়াজ্জিন। স্থানীয় চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের অব্যাহত হুমকি-হামলার প্রাননাশের শঙ্কায় জুলুম থেকে মুক্তি পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন পরিবার নিয়ে।
শনিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য ফোরাম কলাপাড়া উপজেলা শাখার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর শহরের বড় সিকদার বাড়ির সন্তান ও কলাপাড়া ওয়ায়েল মিল মসজিদের মুয়াজ্জিম সাইফুদ্দিন সিকদার। এসময় তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ তিনটি দলিলমুলে বর্তমান পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের এস এ ২০ ও ২১ নং খতিয়ানে ৬২১ ও ৬২২ নং দাগে প্রকৃত মালিক আলতাফ হোসেন গংদের নিকট ০.৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে কাঁচা ঘর নির্মান করে বসবাস করছেন তাঁরা। সেখানে পৌরসভা থেকে পানির লাইন, বিদ্যুৎ সংযোগও নিয়েছেন। করেছেন বাগানবাড়ী ও পুকুর খনন।
তিনি বলেন,
২০১৬ সালে নজরুল ইসলাম হাওলাদার গং হঠাৎ করে আমার বসতবাড়ি অংশ দখল করার পায়তারায় লিপ্ত হয়ে হুমকি ধামকি দিতে থাকে,
এ ব্যাপারে কলাপাড়া পৌরসভায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। পৌর মেয়র বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর হাফেজ মো. আল আমিন সরদারের উপার দায়িত্ব অর্পন করেন। দায়িত্ব পেয়ে কাউন্সিলর ও স্থানীয় সালিশ উভয় পক্ষের দলিলপত্রাদী পর্যলোচনা করে আমার দলিল , দখল ন্যায়সংগত বিধায় নজরুল হাওলাদার গং ভবিষ্যতে কোন দাবী করবেনা এবং শান্তিপূর্ন ভোগ দখল বাধা দিবে না এ মর্মে রোয়েদাদপত্র সম্পন্ন করে উভয় পক্ষে সম্মলিত স্বাক্ষর নেন।
তিনি বলেন, নজরুল ইসলাম ও তার দোষররা ভূমি দস্যু ও জবরদখলকারী। মানুষের জমি জমা দখল করা তাদের নেশা ও পেশা স্থানীয় সালিশ ব্যবস্থা না মেনে গায়ের জোরে ত্রাস সৃষ্টি করে থাকে। দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা গত নয় সেপ্টেম্বর হঠাৎ রাতের আধারে দলবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে রোপনকৃত মেহগনি গাছের বাগনে একাধিক গাছে কেটে নিয়ে গেছে। অস্ত্রের ঝন ঝনাতিতে এলাকার লোকজন টু শব্দ করেতে পারেনি। এ সময় তার ছেলে ঘর থেকে বের হলে তাকে বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং ২৭৫/২০২০। এছাড়া কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জজ আদালতে আরো একটি মামলা করেছি। যার নং ৩২২/২০২০।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছাত্রলীগ কর্মী, কলাপাড়ার চাঞ্চল্যকর অভি হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামীরা জামিনে এসে এমন ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড চালাচ্ছে।
এদের সাথে সম্পৃক্ত থেকে দখলের কাজে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন সংখ্যালঘু ও মসজিদ মাদরাসার জমি দখলকারি ভূমিদস্যু এস এম মুর্তাল্লা সৌরভ ওরফে মনু সিকদার
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো নাটক। প্রকৃতপক্ষে জমির মালিক আলতাফ হোসেন। সে আমাকে পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি রেজিস্টিকৃত দলিল করে দেয়। দলিল নং ৬১৯৫/ ২০১২ ইং। আমি পাওয়ার অফ এ্যাটনি রেস্টিকৃত দলিলমূলে এই সম্পতির প্রকৃত মালিক। আমার জমি আমিই ভোগ করছি। তারা অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে আলতাফ হোসেনের নাম ব্যাবহার করে জাল দলিল সৃষ্টি করেছে।
Leave a Reply