২৮ /৮/২০
হেবজুল বাহার,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি/নৈশ প্রহরীর চাকুরীর কথা বলে
যথাক্রমে ৪ লক্ষ ১০ হাজার ও ২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এবং এই বিষয়ে অনলাইন পোর্টালে সংবাদ লেখায় গণমাধ্যম কর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি ধমকি দেয়ায় আজ নবীনগর থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।
তথ্য সূত্রে জানা যায়,এই আওয়ামী লীগ নেতা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের অপরাধ করে থাকেন।
বিগত ২০১৭ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তর /নৈশ প্রহরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর এই পদে অন্যদের মত সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন এর চর বাড্ডা গ্রামের আল-আমিন ও বড়িকান্দি ইউনিয়ন এর মুক্তারামপুর গ্রামের সজিব মিয়া আবেদন করলে সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তাদের প্রলোভন দেখিয়ে চাকুরী নিশ্চিত করে দিবে বলে হাতিয়ে নেয় ৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।
এই বিষয়ে চর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি পদে আবেদনকারী আল আমিন বলেন,আমি গ্রামের সহজ সরল মানুষ তাই এত কিছু বুজি না জাহাঙ্গীর আমার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকুরী দিবে বলে দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী দিচ্ছে না আবার আমার দেয়া টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।টাকা চাইতে গেলে উল্টো হুমকি ধমকি দিচ্ছে, তাই আমি বাধ্য হয়ে আজ আইনের আশ্রয়ে নিয়েছি ও আমাদের নিকটবর্তী বড়িকান্দি ইউনিয়নের সজিব মিয়া নামের আরেক জনের কাছ থেকে ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা একই কায়দায় আত্মসাৎ করেছেন।
এই বিষয়ে সরজমিনে জানতে গেলে ১২৪ নং মুক্তারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পদে আবেদনকারী সজিব মিয়া বলেন,কাদৈর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয় সে আমাকে চাকুরি দিয়ে দিবে বলে ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নিয়ে চাকুরি না দিতে পারায় টাকা চাইতে গেলে আজ কাল বলে দেম দিচ্ছি করছে,শুধু তাই নয় আমাদের আকুতি মিনতির শুনে স্থানীয় সাংবাদিক নিউজ করলে তাকেও হুমকি ধমকি দেয়,তাই নিরুপায় হয়ে আজ বাদী হয়ে নবীনগর থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।
এই বিষয়ে হুমকি ধমকির স্বীকার সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান বলেন,আমি সদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ করে থাকি,এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে লেখালিখি করায় সে আমাকে হুমকি ধমকি ও তার মেয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ভয় দেখায়,এমনি ইতিপূর্বে আমার নামে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যা ভিত্তিহীন। তিনি তা করে ক্ষ্যান্ত হননি আমাকে প্রাননাশের হুমকি ধমকি দেন, তাই আমি এই বিষয়ে নবীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এই সম্পর্কে জানার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীরের মুঠোফোনে বারবার ফোন করে পাওয়া যায়নি।
থানার অভিযোগের বিষয়টি জানতে চেয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply