নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যেকোনো মানুষের কাছে পরিবার হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।পরিবার হচ্ছে মানুষের আশা-ভরসার স্থল ও নিরাপদ আশ্রয়।দিন শেষে সবাই পরিবারের কাছেই ফেরে।কেননা এটাই শান্তির ঠিকানা।আর এই পারিবারিক পরিসরেই যদি নির্যাতনের শিকার হতে হয়,তার চেয়ে বেদনাদায়ক আর কী হতে পারে?কিন্তু এমনটাই ঘটছে, কম–বেশি সব দেশে।আমাদের দেশে যত নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে,তার ৭৭ শতাংশই হয় পারিবারিক পরিসরে।আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বামীরাই স্ত্রীদের ওপর নির্যাতন চালান।
এমনই এক অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে উম্মে হাবীবা (২০),৫/বি মোজাহের ভবন,রহমতগঞ্জ, আন্দরকিল্লা,কোতোয়ালী,চট্টগ্রাম।শ্বশুর বাড়ির লোকের কাছে পায়নি সত্যিকারের ভালোবাসা,পেয়েছে প্রতারকদের প্রতারণার ভালোবাসা।উম্মে হাবীবা তার শ্বশুর বাড়ির মানুষের কাছে।
গত ৫ সেপ্টম্বর ২০১৩ সালে উম্মে হাবীবা তখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বয়স ১৩ বছর সলিমা সিরাজ মাদ্রাসায় পড়া অবস্থায় রিদুয়ান ইসলাম খান একরকম প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ভালোবাসা অভিনয় জালে আটকিয়ে মাদ্রাসার ছুটির পর রাস্তা থেকে তুলে নিজের প্রাইভেট গাড়িতে নিয়ে মনে ইচ্ছা বিরুদ্ধে জোর করে প্রথমে ধর্ষণ এবং বন্দী করে রাখে তার বাসায় আম্বিয়া শেরিন বিল্ডিং, জি-৪,এফ-৪ ফ্ল্যাট,১৬ নং জামালখান কোতোয়ালী চট্টগ্রাম। রিদুয়ান ইসলাম খান এর বাসায় আর্তগোপন করে রাখে বলেন ভুক্তভোগী হাবীবা। এরিমধ্য উম্মে হাবীবার বাবা চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানায় মেয়ের খোঁজে ০৫/০৯/২০১৩ ইং তারিখে সাধারণ ডায়েরীর আবেদন করেন।
পরবর্তীতে জানাজানি হলে রিদুয়ান ইসলাম খান বিয়ের করেছে মর্মে প্রচার করে হাবীবাকেও হাবীবার পরিবারের সাথে গত ৫ বছর কোন প্রকার যোগাযোগ করতে দেননি।এই দিকে হাবীবার পরিবার মেয়ের উপর রাগ করে কোন প্রকার যোগাযোগ করেননি বিগত ৫ বছর।গত বছর উম্মে হাবীবা ৭ মাসের অন্তঃসত্তা ২০১৯ইং মে মাসে হাবীবার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে উপায় না দেখে রিদুয়ান এর পরিবার হাবীবার মা-বাবাকে দেখা করার সুযোগ দেন।২৩/০৭/২০১৯ইং উম্মে হাবীবার একটি মেয়ে সন্তান জম্ম দেন যার নাম রাখা হয় আজুয়া ইসলাম খান।এই বাচ্চার বাবা রিদুয়ানের নামের জায়গায় মেঝোবোনের জামাই ফয়সাল ফারুক এর নাম বসাতে চাইলে উম্মে হাবীবার সাথে রিদুয়ান সহ তার পরিবারের ধন্দ এবং শারীরিক নির্যাতন করেন।এমন কি এই নির্যাতন থেকে অবুঝ শিশু আজুয়া ইসলাম খানও পরবর্তীতে রেহাই পাইনি যার প্রমাণ শিশুটি শরীরের অক্ষত রয়েছে।রিদুয়ান ইসলাম খান যখন উম্মে হাবীবাকে তুলে নিয়ে যায় তখন হাবীবার বয়স ছিল ১৩ বছর,প্রশ্ন থেকে যায় রিদুয়ান এর পরিবার কি ভাবে ছেলের এই অপরাধ কে প্রস্রয় দেন।
উম্মে হাবীবার ভাই ওসমান গনি বলেন,আমার বোনকে রিদুয়ান জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বন্দী করে ভয়ভীতি দিয়ে প্রথমত ধর্ষণ করে পরবর্তীতে রিদুয়ান বিয়ে করেছে প্রচার করেন যাহা আমাদের কাছে কোন প্রমাণ পত্র নেই এমনকি তাদের কাছে ও প্রমাণ পত্র নেই।তবুও অনেক বছর পর যখন রিদুয়ান এর পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক হয়ে উঠবে এমন সময় আমার বাবা রিদুয়ান এর পরিবারকে রিদুয়ান ও হাবীবার বিয়ের নিকাহ নামা সম্পন্ন করতে বললে রিদুয়ান এর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় হাবীবার বড় বোনের বিয়েতে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে সেই ৫০ লক্ষ টাকা আমাদের কাছে যৌতুক হিসাবে দাবি করেন।তাতে আমরা দিতে অস্বীকার করলে আমার বোন ও বোনের অবুঝ শিশুটির উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়।তিনি আরও জানান,যার কারণে আমার বোন উম্মে হাবীবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ ২০০০ (সংকোচিত ২০০৩) এর ৭/৯(১)৬/১৩/৩০ধারায় রিদুয়ান ইসলাম খান পিতা দিদারুল ইসলাম,দিদারুল ইসলাম পিতা মৃত শামসুল হক খান,ফাতেমা ইসলাম সাথী স্বামী বাদল খন্দকার,সুরাইয়া ইসলাম স্বামী ফয়সাল ফারুক ,উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।আমি আমার বোনের সম্মান ফিরে পেতে প্রশাসন সহ সবার সহযোগিতা আবেদন করছি।
Leave a Reply