শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাস : সংকট মোকাবেলায় সরকার যতটা আন্তরিক ও উদ্বিগ্ন, সাধারন মানুষ ততটা নয়! ? Matrijagat TV

মুফিজুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি কুয়েত :
  • আপডেট টাইম শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০

করোনা ভাইরাস আমাদের দেশে প্রথম শনাক্ত হয় মার্চের ৮ ,২০২০ ইং তারিখে। এর পর থেকেই সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করে সময় উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালন বাতিল করা হয়, সারা দেশে lock down ঘোষণা করা হয়, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সল্প পরিসরে করা হয়, পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাতিল করা হয়, মে দিবস উপলক্ষে সকল অনুষ্ঠান বাতিল করা হয় তথা গণজামায়েত হয় এমন সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী জয়তু শেখ হাসিনা বরাবরের মত তাঁর বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের দিকে তাকিয়ে না থেকে স- উদ্যোগে জনগনের সুরক্ষার্থে দিকনির্দেশনা দেন। কেননা জনগনের জীবন রক্ষা করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। তাই দ্রুত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকারী, বেসরকারী ও স্থানীয় বড় বড় উদ্যোগতাদের সমন্বয়ে সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করেন। তথা সরকারী ও বেসরকারী ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কেননা ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বিশেষ অঙ্গীকার ছিল-সকলের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবার নিশ্চয়তা, আর এ লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ দান করেন। এবং মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আর্মি,বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও স্বস্থ্য কর্মী সহ সকল প্রকার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করার নির্দেশ দেন। তথা সকল মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেন। সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ডাক্তার , নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী সহ সকলেই নিজেদের জীবন বাজি রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সকল স্তরের মানুষের পাশে দাঁড়ান।তাঁদের করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যু বরণ করার পরিসংখ্যান থেকে এর স্পষ্টতা মেলে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সরকারের বিশেষ অঙ্গীকারের মধ্যে -দক্ষ ও সেবামূলক জনপ্রশাসন এবং জন বান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা উল্লেখ যোগ্য। এ সংকটময় অবস্থায় আমরা এর সুন্দর দৃষ্টান্ত লক্ষ্য করেছি এবং তাঁরা যে জনগনের জীবন রক্ষায় মৃত্যুবরণ করতে সদাই প্রস্তুত তা আমাদের সন্দেহের উর্ধ্বে এবং তাঁরা যে ভাবে সকল স্তরের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তা দেখে বুঝা যায় যে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সত্যিকার অর্থেই জনবান্দব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন- “এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়””। আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা দেশনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে ১০ টাকা কেজি চাউল বিতরন করেন যাতে করে নিম্ন আয়ের লোকজন দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পারে। নিন্মবিত্ত তথা খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে উপহার হিসাবে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন। এবং তিনি দৃড়তার সাথে বলেন- “ত্রাণ গ্রহন করতে কেউ লজ্জা বোধ করবেন না, কেননা এসব জনগনের টাকায় কেনা, এটা আপনাদের অধিকার”। কিন্তু এ ১০ টাকার চাউল বিতরণ নিয়ে দেখা দেয় অনিয়ম আর দুর্নীতি। কিন্তু ২০১৮ইং সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বিশেষ অঙ্গীকারের প্রথমেই ছিল -“দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ “। আর তাই দুর্নীতিবাজরা যে দলের হোক না কেন এবং যত শক্তিশালীই হোন না কেন তাদের দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। দুর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধি সহ সকল দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এনে প্রমাণ করলেন – জনগনের কাছে অঙ্গীকার করে যথাযথ ভাবে তা রক্ষা করছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন -“এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ যারা যুবক শ্রেণী আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়”। সেই দিক বিবেচনা করে সরকার দেখলেন যে, গার্মেন্টস শিল্পের সাথে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক যুবক শ্রেণী যুক্ত আছেন আর তাই এ সংকটময় অবস্থায় তারা যেন বেকার হয়ে না পড়ে এবং এ শিল্প যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, তাই সরকার ৫০০০ কোটি টাকা প্রনোদনা ঘোষণা করেন এবং ইতি মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০০০ কোটি টাকা ছাড় করেন। শুধু তাই নয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য মোট ৭২,৫০০ কোটি টাকা প্রনোদনা ঘোষণা করেন। কেননা টেকসই উন্নয়ন তথা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সর্বশেষ বিশেষ অঙ্গীকার ছিল।
শুধু তাই নয় পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা লক্ষ্যে একই সাথে এই রমজানের ভেতর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। যার মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়। যা ছিল নির্বাচনী ইশতেহারের আরেকটি বিশেষ অঙ্গীকার ।দেশী ও বৈদেশিক বাণিজ্য টিকিয়ে রাখার স্বার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর নির্দেশে সকল তফসিল ব্যাংক স্বল্প পরিসরে খোলা রাখা হয়, যাতে ব্যবসায়ের চাকা সচল থাকে, ব্যাংকা কর্মকর্তাগণ এ সংকটময় অবস্থায় নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে তথা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নিরলস ভাবে নির্ভয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কেননা সরকারী ও বেসরকারী বিনিয়োগ বৃদ্ধি বর্তমান সরকারের আরেকটি বিশেষ অঙ্গীকার। আর এরই মধ্যে করোনা’র সংকটময় অবস্থায় সেবাদানকারী সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বীমা সুবিধার আওতায় নিয়ে আসেন সরকার । করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার বিরামহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে রাত-দিন, তারপরও এক শ্রেণীর মানুষ সরকারের পাশে না থেকে সমালোচনা করছে ও জনগনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে যাচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক। এমন সংকটময় অবস্থায় সকলকেই একযোগে কাজ করতে হবে এ দেশের ও জনগনের সার্থে, কেননা জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস। তাই এ দেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী, স্বাধীনতায় যাদের ভূমিকা দেশে বিদেশে স্বীকৃত, ইতিহাস যাদের কথা বলে সেই দল বর্তমান সরকারে থেকে জনগনের নিরাপত্তার কথা তথা মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা ভাববে এটাই এদেশের মানুষ প্রত্যাশা করে। এবং সেই লক্ষ্যেই বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আর যারা শুধু মুখে বড় বড় কথা বলে সরকারের বিরোধিতা করে জনগণ এবার তাদের প্রকৃত চেহারা অবলোকন করার সুযোগ পেয়েছ

 

লেখক: মুহাম্মাদ আল মামুন

কথাসাহিত্যিক ,কবি , গীতিকার ও ব্যাংকার ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581