নবী কারিম (সঃ) বলেছেন, জ্ঞান অর্জনের জন্যে সুদূর চীন দেশে যাও। অর্থাৎ সুশিক্ষা অর্জন করা ছাড়া কোনো মানুষই ভালো কিছু করতে পারে না। তাই ভালোভাবে জীবনযাপনের জন্যে সুশিক্ষা অর্জনের বিকল্প নেই।অবশ্য খুব অল্পসংখ্যক মানুষই নিজে আলোকিত হয়ে সমাজকে আলোকিত করতে পারেন। তেমনই একজন আলোকিত মানুষ হলেন শ্রীপুর পৌরসভার এ্যাড. হারুন অর রশিদ ফরিদ তিনি মানুষের সেবায় দীর্ঘদিন কাজ করলেও মানুষ তাঁকে ঐভাবে চিনতে পারেনি। কেননা, এই প্রচারের যুগে তিনি একজন প্রচারবিমুখ মানুষ। যেখানে অনেক প্রচারমুখী মানুষ অল্প কাজ করে বেশি প্রচারে মত্ত, সেখানে হারুনুর রশিদ ফরিদ নিজে আড়ালে থেকে মানুষের পাশে থাকতে দৃঢ় প্রতীজ্ঞ।
এ্যাড. হারুন অর রশিদ ফরিদ বর্তমানে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে ঢাকায় বসবাস করছেন। কিন্তু জন্মস্থানের প্রতি তার নাড়ির টান এতটুকুও কমেনি। তিনি প্রতি সপ্তাহেই তাঁর এলাকায় আসেন। তাঁর গ্রামে আগমনের দিন সাধারণ মানুষের কাছে উৎসবতুল্য দিন হয়ে দাঁড়ায়। তিনি গ্রামে এলে সাধারণ মানুষ তাঁর বাড়িতে এসে ভিড় জমান। অনেকে আসেন তাঁকে একনজর দেখতে। অনেকে আসেন তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলতে। হারুন অর রশিদ ফরিদ হাসিমুখে তাদের কথা শোনেন। তাঁকে সবসময় এলাকার অস্বচ্ছল মানুষদের সহযোগিতা করতে দেখা যায়। নীরবে নিভৃতে থেকেই তিনি এসব কাজ নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন।
শিক্ষার প্রতি তাঁর গভীর মনোযোগ রয়েছে। শ্রীপুর পৌরসভার শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অবদান অনবদ্য। তিনি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, মসজিদ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন এবং আছেন। তিনি কেওয়া পশ্চিম খন্ড দারগার চালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে ২০০০ইং হতে ও সভাপতি হিসেবে ২০০৪ইং সাল হতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি দীর্ঘ ১০ বছর পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, শ্রীপুর, গাজীপুর এর পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন ( ২০০৯ইং হতে ২০১৯ইং ) করেন । একই সাথে তিনি বর্ণমালা কিন্ডার গার্টেন, শ্রীপুর, গাজীপুর এর সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এবং ঐতিহ্যবাহী মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে২০০৯ইং সাল হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন।শিক্ষানুরাগী জনাব ফরিদ আজীবন সদস্যঃ ১) শ্রীপুর মুক্তিযােদ্ধা রহমত আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।২) পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, শ্রীপুর, গাজীপুর।৩) মিজানুর রহমান খান মহিলা ডিগ্রি কলেজ।৪) মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়।
এবিষয়ে তিনি বলেন, সামাজিক উন্নতির জন্যেও শিক্ষার প্রয়োজন অনেক। এলাকার সন্তানদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করতেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত থেকেছি। যদি শিক্ষার্থীরা এখান থেকে পড়াশোনা করে ভালো কিছু করে, মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদিত করে_তবেই এসব প্রতিষ্ঠান গড়া সার্থক হবে।
Leave a Reply