আজ ১৩ই ফেব্রুয়ারী ইউনিসেফ এর অর্থায়নে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন কর্তৃক পরিচালিত কক্সবাজারের রামু-(কেন্দ্র-১), খুনিয়া পালং ইউনিয়ন-এর কিশোর কিশোরী বহুমুখী উন্নয়ন কেন্দ্রে অলটার্নেটিভ লার্নিং প্রোগ্রাম-এ অধ্যয়নরত ১৬০ প্রশিক্ষণার্থী কিশোর কিশোরীকে উৎসাহ ও যাতায়াতের সুবিধার জন্য জানুয়ারি মাস বাবদ জনপ্রতি ৮০০টাকা করে প্রদান করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উক্ত কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অর্গনাইজার মো: শাহ জাহান, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সেন্টার পরিচালনা কমিটির সভাপতি খুনিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদ (সাংবাদিক)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি ইউপি সদস্য মো: আব্দুল্লাহ বিদ্যুৎ, পরিচালনা কমিটির সদস্য- আব্দুর রাজ্জাক, সুকুমা বড়ুয়া, ফরিদুল আলম, উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন’র অলটার্নেটিভ লার্ণিং প্রোগ্রামের ট্রেনিং অফিসার নুসরাত জাহান পিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট সাংবাদিক মুসলিম উদ্দিন, কেন্দ্রের ট্রেইনার, টিচার সহ সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন’র অলটার্নেটিভ লার্ণিং প্রোগ্রামের ট্রেনিং অফিসার নুসরাত জাহান পিয়ার নিকট থেকে উক্ত প্রোগ্রামের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান- উক্ত প্রোগ্রামের আওতায় কক্সবাজার জেলার ৪ টি উপজেলায় ৫ টি হোস্ট এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এর ১৫ টি সেন্টার সহ মোট ২০টি সেন্টারের মাধ্যমে মোট ৬৪০০ জন্ ১৫ থেকে ১৮ বছরের ঝড়ে পরা কিশোরর কিশোরীদের জীবন দক্ষতা, লিটারেসি ও নিউমারেসি, সাইকোসোশ্যাল সাপোর্ট, ব্লক বুটিক্স, এবং হ্যান্ডিক্রাফ্ট, ট্রেইলরিং, মোবাইল এন্ড কম্পিউটার সার্ভিসিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ।
ছয় মাস মেয়াদী এই কোর্সে প্রত্যেক মাসে (হোস্ট কমিউনিটিতে) প্রশিক্ষণার্থীদের উৎসাহ ও যাতায়াতের সুবিধার জন্য জনপ্রতি ৮০০টাকা করে প্রদান করা হবে।
প্রত্যেকটি সেশন এর মেয়াদ ছয় মাস। মে’২০১৯ মাসে প্রোগ্রাম শুরু হলেও উক্ত প্রোগ্রামের মূল কার্যক্রম শুরু হয় জুলাই মাসে। এই প্রোগ্রামের প্রথম সেশন শেষ হয়েছে ডিসেম্বরে; যেখানে হোস্ট কমিউনিটির ৮০০ জন এবং রোহিঙ্গা কমিউনিটিতে ২৪০০জন সহ মোট ৩২০০ জন কিশোর কিশোরীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
ততমধ্যে হোস্ট কমিউনিটির ৮০০ জন হতে ১০৩ জন প্রশিক্ষণার্থী নিজ গৃহে কিংবা চাকরী স্থলে অথবা নিজস্ব প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে আর্থিক কর্মাকান্ডে নিয়োজিত হয়েছে।
বাকিরাও ক্রমান্বয়ে উক্তরূপ স্বাবলম্বী হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। এতেকরে দেশের বেকারত্ব দুর হবে এবং গড়ে উঠবে দক্ষ জনগোষ্ঠি।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে উক্ত প্রোগ্রামের আওতায় পুনঃ ৩২০০ (তিন হাজার দুইশত) জন কিশোর কিশোরীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়াও আমারদের সেন্টার গুলো নিরক্ষর মা’দের স্বাক্ষরতার আওতায় আনার জন্য মা স্বাক্ষরতা কর্মসূচী চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের শারিরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য হোস্ট কমিউনিটিতে ৬টি শিশু বিকাশ কেন্দ্রও কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন- ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন এর উক্ত প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য হলো ঝড়ে পড়া কিশোর কিশোরীদের কারিগরি দক্ষতা প্রদান করার মাধ্যমে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলা, যাতে তারা স্বাবলম্ভী হতে পারে।
Leave a Reply