শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১২ অপরাহ্ন

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়; পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে মুসল্লিরা! ? Matrijagat TV

শফিকুল ইসলাম, ষ্টাফ রিপোটার
  • আপডেট টাইম রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২০

বয়ান- জিকির-আসকার, ইবাদত-বন্দেগি, আখেরি মোনাজাত শেষে ফিরছেন মুসল্লিরা। তবে ইজতেমা উপলক্ষে রাস্তায় যানচলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকায় সবাই পায়ে হেঁটেই ফিরছেন। তুরাগ তীর থেকে পায়ে হেঁটে আসার পর উত্তরা হাউজ বিল্ডিং থেকে কিছু কিছু বাস চলছে। তবে বাসগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে মুসল্লিদের কাছে থেকে।

হাউস বিল্ডিং থেকে গুলিস্তান বা যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত বাসগুলো ১০০-১২০ টাকা চুক্তিতে যাত্রীদের ডাকছে। কিছু কিছু পিকআপ গাড়ি কুড়িল বা মহাখালী পর্যন্ত ৫০ টাকায় যাত্রী পরিবহন করছে। অন্যদিকে সিরিয়াল করে দাঁড়িয়ে আছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, যারা অল্প দূরত্বে চারজন করে যাত্রীদের পৌঁছে দিচ্ছেন জনপ্রতি ১০০ টাকা ভাড়া আদায়ের মাধ্যেমে। বাকি মুসল্লিরা পায়ে হেঁটেই কুড়িল বিশ্বরোড বা মহাখালী পর্যন্ত যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে ইজতেমায় অংশ গ্রহণ শেষে ফিরতি পথে বিড়ম্বনায় পড়েছেন মুসল্লিরা।

তুরাগ তীরে ইজতেমায় অংশ নিয়ে হাউস বিল্ডিং পর্যন্ত হেঁটে এসেছেন যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা আফছার আলী। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত হেঁটে আসার পর এখান থেকে কিছু কিছু বাস যাত্রাবাড়ীর দিকে যাচ্ছে। কিন্তু তারা ভাড়া নির্ধারণ করেছে ১০০-১২০ টাকা। তারা মানুষকে জিম্মি করে ভাড়া আদায় করছে। বাসের সংখ্যাও কম। অসহায় যাত্রীরা অনেকেই বাধ্য হয়ে যাচ্ছেন। আর যাদের কাছে ভাড়া বেশি মনে হচ্ছে তারা পায়ে হেঁটেই চলেছেন কুড়িল বিশ্বরোড বা মহাখালীর দিকে। এরপর সেখান থেকে বাসে উঠছেন।

এদিকে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে জয়দেবপুর থেকে শেরপুর,ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, রৌমারী জামালপুর,এর ভাড়া যেখানে ২০০ থেকে ২৫০টাকা সেখানে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫০০থেকে শুরু করে ৬০০-৬৫০-৭০০টাকা ইজতেমা থেকে ফেরা আরেক মুসল্লি মুকিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ৮ জন মিলে ইজতেমায় এসেছিলাম। হাউস বিল্ডিং থেকে এখন যাব গুলিস্তান। কিন্তু অল্প সংখ্যক বাস আছে, যারা অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছে। ভাড়া ১০০ টাকা দিতে চাইলেই কেবল তারা বাসে যাত্রী তুলছে।

যে কারণে আমরা হেঁটেই কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত যাচ্ছি। এরপর ওখানে গিয়ে কোনো বাস পেলে গুলিস্তানের দিকে যাব।’ হাউস বিল্ডিং থেকে গুলিস্তান যাওয়া আকাশ সুপ্রভাত বাসের চালক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখান থেকে যাত্রী নিয়ে বের হয়ে গেলে যানচলাচল স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আর এদিকে আসতে পারব না। সারাদিনের ট্রিপ কমে যাবে। এছাড়া রয়েছে তীব্র যানজট। যে কারণে একটু বেশি ভাড়া নিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, কিছু পরে যখন গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে তখন আবার ভাড়া কমে যাবে। তারপরও আমরা খুব বেশি যাত্রী পাচ্ছি না। মুসল্লিরা পায়ে হেঁটেই বেশি যাচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581