যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের খড়িঞ্চা উত্তরপাড়া গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী আব্দুল আলিমের বাড়ি থেকে রাস্তায় ওঠার যাতায়াতের একমাত্র পথটি। এই একমাত্র পথটি প্রাচির দিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে, গ্রামের কুচক্রী মহলের প্রধান মৃত আবুল দফাদারের ছেলে আলাল হোসেন, জালাল হোসেন ও একই গ্রামের মৃত আলতাফ দফাদারের ছেলে হাফিজুর রহমান।
সম্প্রতি ওই চক্রটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় প্রবাসি পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এঘটনায় তাদের নাম উল্লেখ করে গত মঙ্গলবার খড়িঞ্চী উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুল আলী ও একই গ্রামের নাজমা বেগম বাদী হয়ে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খড়িঞ্চী গ্রামের কুচক্রী মহলের প্রধান আলাল-জালাল ও হাফিজুর বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।
তাদের নেতৃত্বে এলাকায় জমি জমা বিরোধ মিমাংসার নামে চলে তাদের নিরব অর্থবাজী। আর এসবের জন্য তাদের প্রধান টার্গেট প্রবাসী ও বিত্তশালী পরিবার।কৌশলে নানা ফাঁদে ফেলে অবাধে চালাচ্ছে তাদের এই কার্যক্রম।
প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ বিষয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও সুফল পাচ্ছে না ভূক্তভোগীরা।
বরং উল্টো নানাবিধ হুমকি ও হামলার শিকার সহ যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে তাদের। পারিবারিক শরিকের জমির যাতায়াতের রাস্তা বের করে দেবে বলে গত ১৫ সালের ডিসেম্বরের দিকে হাফিজুর রহমান ১লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আব্দুল আলীর কাছে।
নিরুপায় হয়ে আব্দুল আলী জালাল পুর ঈদগাহ মাঠে রফিকুল ইসলাম সহ তিন চার জনের উপস্থিততে ৪০ হাজার টাকা প্রদান করিলেও বাকী টাকা না দেওয়ায় উক্ত যাতায়াতের রাস্তা ইটের প্রাচীর দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে চক্রটি।
সেই সূত্র ধরে ভূক্তভোগী আব্দুল আলীর ছেলে প্রবাসী নাজমুল হুসাইন ও শরীফুল ইসলামকে বেধড়ক মারপিট করে প্রভাবশালী আলাল সহ তার বাহিনী। এছাড়া , বসতবাড়ীর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উপজেলা খড়িঞ্চী উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল মান্নানের স্ত্রী নাজমা খাতুনের সাথে তার ভাইদের মধ্যে শরিকানা জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
জানতে পেরে সেখানে হাজির হয় চক্রটির প্রধান ও জালাল হোসেন। তারা ওই পরিবারকে বাড়ী হতে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়ে ভূক্তভোগী নাজমা বেগমের মেয়ে সোনিয়া খাতুন খাদিজা ও রিয়া খাতুনকে বেধড়ক মারপিট করে।এই চক্রটি ক্ষমতাধর প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এসব ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে আব্দুল আলী ও নাজমা বেগম বাদী হয়ে তাদের নাম উল্লেখ করে মণিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবিষয়ে ভূক্তভোগী আব্দুল আলী বলেন, অন্যায় ভাবে জোরপূর্বক আমার বাড়ি থেকে রাস্তায় উঠার একমাত্র পথটি ইটের প্রাচির দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে আমরা দীর্ঘদিন বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে আছি। বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
তিনি আরও বলেন গত আড়াই বছর ধরে এবিষয় নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিস, এএসপি অফিস,থানা,ও খেদাপাড়া ফাড়িতে অভিযোগ করেছি। স্থানীয়ভাবে মিমাংশার জন্য শালিশী বৈঠক বসেছে কিন্তু কোথাও কোন সমাধান হতে দেয়নি চক্রটির প্রধান আলাল,হাফিজুর,ও জালাল। অপরদিকে নাজমা বেগম বলেন, আমি থানায় অভিযোগ করে ওই বাহিনীর হুমকির মুখে রয়েছি ।
এবিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আলাল ও হাফিজুর বলেন, উক্ত অভিযোগটি ভিত্তিহীন। এবিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান আঃ হকের সঙ্গে ০১৭১১২৪৬৪৯৪ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিচিভ করেননি।
Leave a Reply