নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। এমনই এক অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মাওনা জোনাল অফিসের ইলেকট্রিশিয়ানের বিরুদ্ধে। চারপাশে যখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত, ঠিক এমনই এক সময় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী (মুরগী বাজার) এলাকার কিছু অংশ ছিল (অন্ধকার ছন্ন)।
ওই এলাকার শতাধিক মানুষকে বিদ্যুৎ দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে উত্তর পেলাইদ এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪০)। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যুৎ সংযোগ দেই দিচ্ছি করে তাল-বাহানা করে ৪ বছর পেরিয়েছে। এতদিন পর বিদ্যুৎ না পেয়ে ওই এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রতিটি মিটারের জন্য প্রায় ১৫ হাজার টাকা করে ১৫২জন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ২২লাখ ৮০হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) ভুক্তভোগী গ্রাহক মোছাঃ রোকসানা বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য বিবাদীর বাড়িতে গেলে বিবাদী ক্ষিপ্ত হয়ে কিল ঘুষি দিয়ে নীলা ফুলা জখম করার অভিযোগ রয়েছে।
পরবর্তীতে সকল গ্রাহক একত্রিত হয়ে জিজ্ঞাসা করিলে মিটার প্রতি আরো পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে বিবাদী দেলোয়ার হোসেন। পরে তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী মুরগির বাজার এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে মাওনা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে গেলে ডিজিএম কামাল পাশা বলেন বিদ্যুতের খুঁটি এবং তারের জন্য কোন টাকা পয়সা লাগে না। তবে মিটার প্রতি ৪০০ টাকা করে জামানত দিতে হয় এই সংবাদ শুনে অনেকেই বলতে থাকে স্যার আমরা তো ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে দিয়েছি ইলেকট্রিশিয়ান দেলোয়ার হোসেনকে। ডিজি এম কামাল পাশা বলেন পল্লী বিদ্যুতের কথা বলে যদি দেলোয়ার হোসেন টাকা নিয়ে থাকে তাহলে আপনারা আইনের আশ্রয় নেন। এ বিষয়ে বিবাদী দেলোয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার পরেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব কুমার সাহা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ৫ হাজার থেকে ১৫হাজার টাকা পর্যন্ত একাধিক গ্রাহক দেলোয়ারকে বিদ্যুৎ সংযোগ বাবদ দিয়েছে।
তবে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে মাওনা জোনাল অফিসের (ডিজিএম) কামাল পাশা বলেন, ইতিমধ্যে ওই এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ সরঞ্জাম লাগানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই এলাকার প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে। তবে বিনামূল্যের সংযোগের জন্য কোন গ্রাহক যদি টাকা দিয়ে থাকে সে দায়ভার সম্পন্ন গ্রাহকের নিতে হবে।
Leave a Reply