দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরেও শেষ হয়নি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার শুলকুর বাজার এলাকার সংযোগ সেতু। এতে করে এই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তির শেষ নেই। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠে যায়। এ সময় পারাপারের জন্য নৌকা ব্যবহার করতে হয়। কারণ ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ নামমাত্র সেতু সংযোগ রাস্তা করে দিয়েছে, যার অবস্থা খুবই নড়বড়ে ও নাজুক। সামান্য বৃষ্টি ও ভার বহনে এটি ভেঙে গেছে। ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল পরিবহন করতে পারছেন না। বিকল্প পথ হিসেবে তারা পাটেশ্বরী ঘোগাদহ রাস্তা ব্যবহার করছেন। এতে করে পরিবহন ব্যয় কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে এবং সময়ের অপচয় হচ্ছে। শূলকুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মিন্টু মিয়া জানান, এই সেতুর কাজ শেষ না হওয়ার কারণে আমার মালামাল আনতে পারছি না। এতে করে আমার ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। তার দাবি যেন দ্রুত এই সেতুটি কাজ শেষ করা হয। জানা় যায় টেন্ডার সূত্রে এই সেতুটির কাজ পেয়েছেন বসুন্ধরা এণ্ড আবু বক্কর সিদ্দিক জেবি নিমার্তা প্রতিষ্ঠান। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ছয় কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ে ২০২০ সালে ৪ ফেব্রুয়ারীতে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অতিবাহিত অতিরিক্ত সময়েও শেষ করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। অথচ এলজিইডি কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে সাব-ঠিকাদার গোলাম রব্বানী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিল না দেওয়ায় কাজটি যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। কুড়িগ্রাম এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ে সেতুর কাজ শেষ করতে পারেনি। তাই নতুনভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জনগণের দুর্ভোগ নিরসনে যত দ্রুত সম্ভব সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি আলহাজ পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে এলজিইডি’র প্রকৌশলীকে সেতুর নির্মাণের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এলাকার মানুষের দাবি দ্রুত সময়ে এই সেতুর কাজ যেন শেষ করা হয়।
Leave a Reply