বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১১:০২ পূর্বাহ্ন

উখিয়ায় সরকারি গাছ রাতের আধারে বিক্রি করে দিয়েছে বন কর্মকর্তা |মাতৃজগত টিভি

ক্রাইম নিউজ
  • আপডেট টাইম বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০

উখিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চল মনখালী বিট কর্মকর্তা সরকারি টেন্ডারে ২১৯ মাথা বা ৪৮০ ঘনফুট ঝাউগাছ দেখিয়ে ৬শ মাথা বা প্রায় ১৩১৫ ঘনফুট ঝাউগাছ দুর্নীতি করে বা চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঝাউগাছ ছেপট খালী করাত মেইলে স্টক রয়েছে বলে জানা গেছে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর এই ঝাউগাছের অপশন ডাকলে তাতে ২১৯ মাথা বা ৪৮০ ঘনফুট অপশনের অনুমতি হয় কিন্তু মেরিনড্রাইভের পশ্চিম পাশে ঝাউবনে স্পটে ছিল প্রায় ৬শ মাথা এবং তার দক্ষিণে গোষ্ঠী গ্রামের পশ্চিমে
আরো ১৫০ মাথার উপরে কাটা ঝাউগাছ মজুদ ছিল এখন এসব ঝাউগাছ রাতে মনজুর আলমের দায়িত্বে স্থানীয় করাত মেইলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এসব ছাড়া সেই টেকনাফের মনতলিয়া বিট পাশাপাশি হওয়ার সুবাদে দুই বিটের দায়িত্ব মনখালীর বিট কর্মকর্তা মনজুরুল আলম চৌঃ কে দেয়া হয়।তাতেই ভাগ্য খুলে যায় বিট অফিসারের।দুই বিটের অধীনে মোট সাতটি করাতকল বসানো হয়েছে,উক্ত করাতকল থেকে মাসিক প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা মাসোহারা নেন এই বিট কর্মকর্তা।তাছাড়া মাসে কম করে হলে ও দশটা নৌকা দুই বিটের অধীনে নির্মাণ করে তাতে মাসোহারা পায় এক লক্ষ টাকার উপরে।বন বিভাগের পাহাড় কাটা,ঘর বাধা,জমি বিক্রির কমিশন তো আছেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ছেপট খালীর দুইটি চৌ মিলে প্রতিদিন ১০০ ঘনফুটের উপরে ঝাউ গাছ চিরাই করে আসছে।এই গাছ কোথায় থেকে আনছে জিজ্ঞেস করলে সরকারী টেন্ডারের গাছ বলে জানায় কিন্তু সরকারী টেন্ডারের কোন অস্তিত্ব বাস্তবে পাওয়া যায়নি।

রাতের আধারে চুরি করা গাছ যেগুলোতে জড়িত বিট কর্মকর্তা।এদিকে করাতকলের মালিকদের সাথে বিট অফিসারের গভীর সখ্যতার কারণে অবৈধ গাছ চিরাই করলে ও কোন ধরনের বাধা আসেনা। ফলে সমুদ্র তীরের বড় বড় ঝাউগাছ বিলিয়ন হয়ে যাচ্ছে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।জলবায়ুর পরিবর্তনে সমুদ্র চর ছোট হয়ে আসছে।শুধু তা নয় ফ্রন্টে অপশনের গাছ দেখিয়ে নতুন গাছ কর্তন করে পুরাতন গাছের সাথে মিশিয়ে দিয়ে তারা অবৈধ করাতকল চালাইতেছে।
গত ২০/০৯/২০২০ইং তারিখে ও ১০০ ফনফুটের উপরে ঝাউ গাছ কেটে উক্ত করাতকলে চিরাই করে বিক্রি করা হয়েছে।তারপরও করাত কলের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই।

এদিকে সারা বছর মিলে গত১৬/০৯/২০২০ ইং তারিখে একবার সরকারীভাবে টেন্ডার হয় ২১৯ মাথা বা ৪৮০ ঘনফুট গাছ তাতে রয়েছে বড় দুর্নীতি এতে বিক্রি করে দিয়েছে ৬শ মাথা বা ১৩১৫ ঘনফুট কিন্তু দুই মাস আগে কিভাব এতগুলো ঝাউ গাছ করাতকলে গেল এটা সচেতন মহলের প্রশ্ন।এদিকে সরকারী টেন্ডারের গাছ দেখতে গিয়ে দেখা যায় ২১৯ মাথা টেন্ডারে থাকলে ও বাস্তবে ৬০০ মাথার উপরে গাছ মজুদ করা আছে, যেগুলো ২১৯ মাথার সাথে গোপনে বিক্রি করা হয়েছে জানিয়েছেন এলাকার সচেতন ও পরিবেশবাদী নাগরিক সমাজ।

এব্যাপারে অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তা মনজুর আলমের সাথে যোগাযোগ করলে,২১৯ মাথা অপশন দেখিয়ে প্রায় ৬শ মাথা কেন বিক্রি করে দিচ্ছেন তা জিজ্ঞেস করলে এসব ব্যাপারে মাথা ব্যাথা না করে অন্য কথা থাকলে বলেন বলে মোবাইল রেখে দেন বিট কর্মকর্তা মনজুর আলম “।

নিউজটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581