রাজধানীর পল্লবী থানার এসআই আরিফ হোসেন মল্লিক কে হেরোইন সেবনের দায়ে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করায় সাধারণ মানুষ ও পুলিশের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক।বর্তমানে ডিএমপির পুলিশ কমিশনার সফিক আহাম্মেদের নির্দেশে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত যাঁদের বিরুদ্ধে মাদকের সাথে জড়িত অভিযোগ আছে, তাদের সবাইকে ডোপ টেষ্ট করানো হচ্ছে। যাঁদের বিরুদ্ধে প্রমান মিলবে তাঁদের চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হবে বলে জানায়।
ইতি মধ্যে প্রায় ১০০ জনের ডোপ টেষ্ট করা হয়েছে এঁদের মধ্যে অনেকের রিপোর্ট পজেটিভ আসছে। যাদের মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমান পেয়েছে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৪-ই জানুয়ারী এসআই আরিফ হোসেন কে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করায় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর টি প্রচার হয়, এ বিষয়ে ওই এসআই আরিফ হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায় তাকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে সত্যি, কিন্তু তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পুর্ন মনগড়া বলে জানায়,সে দাবি করে তার বিরুদ্ধে এ যাবত কোন প্রকার অভিযোগ কেউ দেখাতে পারবে না।
এটা একমাত্র ডিপার্টমেন্টের ব্যাপার কেন তাকে ডোপ টেষ্টের নামে মিথ্যে কলঙ্ক দেওয়া হয়েছে।সে আরো দাবি করে বলে যদি কোন সাংবাদিক বা গোয়েন্দা সংস্থা কোনদিন চাকুরীর আগে বা চাকুরীরত অবস্থায় একটা সিগারেট খাওয়ার প্রমান দেখাতে পারে তাহলে ও তার মনে কোন প্রকার দুঃখ থাকবে না চাকুরী থেকে বরখাস্ত নিয়ে। তার কথার পরিপেক্ষিতে মাতৃজগত পত্রিকার অনুসন্ধানে জানা গেছে এসআই আরিফ হোসেন ছিলো অধুমপায়ী একজন নিতীবান নিরহ ভালো মনের অফিসার,, ভাষান টেক থানা থেকে পল্লবী থানায় যোগদান করার পর ওসি নজরুল ইসলাম তাকে যোগ্য পুলিশ অফিসার হিসেবে ফোকাল পয়েন্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেন পল্লবী থানার।
এতে কিছু মানুষের মাথা বেথা শুরু হয়, সেখান থেকেই তার পিছনে কোন একটা কুচক্রী মহল তাকে পল্লবী থানা থেকে সরানোর জন্য বিভিন্ন ভাবে তার নামে বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার থেকে সিনিয়র অফিসারদের মোবাইলে এসএমএস করতে থাকে এবং পরবর্তীতে ওই নাম্বারের অভিযোগের কোন প্রমান না মিলায় এবং ওই সব নাম্বার বন্ধ করে রাখায় সিনিয়র পুলিশ অফিসার গন বুঝতে পারে এসব তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ।তাই তার দায়িত্ব পালনে কোন প্রকার বেঘাত ঘটাতে না পারায়,সর্ব শেষ তাকে কোন এক অজানা কারনে ডোপ টেষ্ট করানোর জন্য ঢাকা হয় এবং সে তারিখ মতো রাজার বাগ পুলিশ হাসপাতালে উপস্থিত হয় এবং ডোপ টেষ্ট করানোর জন্য নমুনা দিয়ে আসে।
কিছু দিন পরে তার ডোপ টেষ্টের রিপোর্ট প্রদান করা হয় তাতে দেখানো হয় তার শরীরে অধিক পরিমানে হেরোইনের নমুনা পাওয়া গেছে, এটা দেখে তার মনে সন্দেহের জন্ম নেয় এবং সে নিজে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডোপ টেষ্ট করায়,সেখানে রিপোর্টে আসে তার শরীরে কোন প্রকার মাদকের আলামত নেই, এটা দেখার পর সে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ওই রিপোর্টের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ করে এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যে রিপোর্ট প্রদান করার কারনে মামলা করার কথা বলে। এর পর এসআই আরিফ হোসেন কে পুলিশ কতৃপক্ষ আবার ডোপ টেষ্ট করানোর জন্য তলব করে এবং সে আবার নমুনা দেয় কিছু দিন পরে ওই ডাঃ আবার রিপোর্ট প্রদান করে তার শরীরে কোন প্রকার মাদকদ্রব্যের নমুনা নেই, মানে রিপোর্ট নেগেটিভ।
সে মাতৃজগত পত্রিকার সাংবাদিক কে তার দুটি রিপোর্ট দেখায় এবং বলে এখানে আমার কিছু করার নেই আমাকে দেশের কাছে হেয় করার জন্য এই কাজ গুলো করা হয়েছে। সে আরো বলে এখন কতৃপক্ষ আমাকে বরখাস্ত করেছে যদি তারা সঠিক তদন্ত করে তাহলে অবশ্য ই তারা আমার চাকুরী করা কালিন দক্ষতা অর্জনের রেকর্ড জানতে পারবে এবং মাদক সেবন তো দুরের কথা আমি কোন দিন ধুমপান ও করিনি।আমরা সাধারণ মানুষ ও পুলিশের কিছু অফিসারদের সাথে কথা বললে সবাই জানায় এসআই আরিফ হোসেনের মতো অফিসার পুলিশ বাহিনীর মধ্যে খুব কম আছে, একজন পুলিশ সদস্যের কাছে এসআই আরিফ হোসেনের বিষয়ে জানতে চাইলে সে মাতৃজগত পত্রিকার সাংবাদিকের সামনে কান্নায় ভেঙে পরে এবং জানায় তার মতো অফিসার আর হবে না।
কয়েক জন পুলিশ সদস্য জানায় এখন ডোপ টেষ্ট রমরমা বানিজ্যে পরিনিত হয়েছে সিনিয়র অফিসারদের মন যোগাতে না পারলেই নাম ঢুকানো হয় ডোপ টেষ্টে সে জরিতো থাক বা না থাক রিপোর্ট পজেটিভ দিয়ে দেয়। আর যদি রিপোর্ট দেবার আগে মোটা অংকের টাকা দিতে পারে তাহলে মাদক সেবন করলেও রিপোর্ট নেগেটিভ দেয় এমন অভিযোগ করে কয়েক জন পুলিশ সদস্য। তাই ডোপ টেষ্ট নিয়ে চলছে পুলিশের মধ্যে না না বিতর্ক কেউ কেউ দাবি করে সিনিয়রদের ডোপ টেষ্ট করানো হলে শতকরা ৯৫ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসবে তারা আরো দাবি করে, কনস্টেবল,এএসআই, এসআই পদে যারা আছে তাদের প্রতি জুলুম করা হচ্ছে প্রকৃত মাদকাসক্ত যাঁরা তাদের সনাক্ত না করে নিরীহ পুলিশ সদস্যের উপর দায় চাপিয়ে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করে দেশের মানুষের কাছে লোক দেখানো নাটক সাজাচ্ছে।
Leave a Reply