আজ ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ,করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আজ শুক্রবার থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ চলবে। এই বিধিনিষেধ হচ্ছে ‘সবচেয়ে কঠোরতম বিধিনিষেধ’ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঘোষণা অনুযায়ী, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদের আগে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আজ ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও কাল ছয়টা থেকে ১৪ দিন খুবই কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনও বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করেছিল। তবে এখন পর্যন্ত করোনা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এই ১৪ দিন সব ধরনের শিল্পকারখানাও বন্ধ থাকবে। তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের পক্ষ থেকে শিল্পকলকারখানা খোলা রাখার দাবি থাকলেও বিষয়টি এখন পর্যন্ত সরকার আমলে নেয়নি। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ঈদের পরের ১৪ দিন ২৩ জুলাই থেকে-৫ আগস্ট আগের বিধিনিষেধের মতো সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন, অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তখন সরকারি কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কাজগুলো ভার্চ্যুয়ালি সম্পন্ন করবেন। এ ছাড়া শপিং মল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট, শিল্পকারখানা, সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে। কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে। তবে আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা যেমন, কৃষিপণ্য-উপকরণ, খাদ্যশস্য-খাদ্যদ্রব্য পরিবহন বা বিক্রি, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, করোনার টিকাদান, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ অন্যান্য জরুরি বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য-সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে এবারও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেওয়ার জন্য মাঠে থাকছে সেনাবাহিনী।
Leave a Reply