আজিজ উল্লাহ:বাহারছড়া দরিদ্র তহবিল প্রথম পর্যায়ে ৩০ ঘর উপজাতি অসহায় চাকমা পরিবার এবং হতদরিদ্র, বিধবা,শারিরীকভাবে অক্ষম,বয়স্ক ও বর্তমানে কর্মহীন দিনমজুর এমন ৩০০ পরিবারকে উপহার সামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন করেছে।অবশিষ্ট অর্থ দিয়ে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মারিশবনিয়া এলাকাসহ জাহাজপুরায় লকডাউনে অবস্থান করা আরো ১৫০ পরিবারের পাশে থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দরিদ্র তহবিল বাহারছড়ার সদস্যরা।প্রথম পর্যায়ে ৩শ পরিবারকে ১০ কেজি চাউল,২কেজি আলু,২ কেজি ছোলা( চনা) ২ কেজি ডাল, ১ কেজি পিঁয়াজ,১ কেজি মুড়ি,১কেজি তেল এবং ১টি সাবানসহ ২০ প্রায় কেজি ওজনের প্যাকেজ উপহার দিয়েছেন।দরিদ্র তহবিল বাহারছড়ার মোট কালেকশন হয়েছে-৩,৯৯,৫৭০ টাকা এবং ৩শ পরিবারকে সহায়তা করতে খরচ হয়েছে-২,৯৮,২৬০ টাকা অবশিষ্ট রয়েছে -১০১,৩১০ টাকা। দরিদ্র তহবিল বাহারছড়ার সদস্যবৃন্দ যারা আর্থিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দরিদ্র তহবিলের প্রধান পরামর্শক শহীদ উল্লাহ শহীদ (মোয়াস কো-অর্ডিনেটর ) বলেন, এই কঠিন অবস্থার মধ্যেও যারা আর্থিক সহযোগিতা না করলে এত বড় প্রোগ্রাম সম্পন্ন করা সম্ভব হত না তাদের মধ্যে উখিয়া-টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদিসহ, বিভিন্ন ব্যবসায়ী,পুলিশ কর্মকর্তা,আমেরিকা,লন্ডন সৌদি আরব,মালয়েশিয়া,দুবাইসহ বিভিন্ন বাংলাদেশ প্রবাসীরা জীবনের শংকা থেকে সহযোগিতা করছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং দেশে থেকে যেসব ডাক্তার,ওকিল,রাজনীতি কর্মী, শিক্ষক,এনজি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যারা এই করুণ সংকটের মধ্যেও আর্থিক সহযোগিতা করছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানান। শহীদ উল্লাহ আরো বলেন,অবশিষ্ট ১০১,৩১০ টাকা দিয়ে বাহারছড়ায় ১ম করোনা শনাক্ত হওয়ার কারণে লকডাউনে থাকা ১৫০ পরিবারকে সহায়তা করা হবে প্রথমে ৩শ পরিবারকে সহায়তা করতে ১লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে যেভাবে এত বড় প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে সহায়তা করছে আমাদের এই অবশিষ্ট টাকাসহ লকডাউনে থাকা পরিবার গুলো আরো কিছু সহায়তা করতে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে অনুরোধ করব বলে জানান।
এদিকে দরিদ্র তহবিলের প্রধান সমন্বয়ক বাহার ছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলী বলেন,এমন সময়ও যারা আর্থিক সহায়তা দিয়ে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আহবান করেন।
Leave a Reply