টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে আব্দুল্লাহ বাবু(২৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করেন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে।নিহত ব্যক্তি হোয়াইক্যং ২নং ওয়ার্ডের আব্দুল মোনাফের ছেলে।
নিহতের বড়ভাই,খোকা (২৫)বলেন, আনুমানিকভাবে ইফতারের ১ঘন্টা খানিক আগে হেলাল (২৪)নামের ছেলেটি তার প্রতিবেশী এলাকার ঘন ফরিদের মেয়ের জামাই ইয়াবা খেয়ে মাতলামি করেছিল তার বাড়ির সামনে, পরে নিহত আব্দুল্লাহ বাবু(২৩) তাকে বাঁধা দেয়,আমরা রোজা আছি তুমি এভাবে পাগলামি করতেছো কেন বলে প্রশ্ন ছুটে দিলে সন্ত্রাসী হেলাল তার সাথে তর্কে জড়ে যায় একপর্যায়ে হাতাহাতি হলে নিহতের বড় ভাই ঘটনা শুনে উভয়কে তাড়িয়ে দেয়।
এমন সময়ে রোজারত নিহত আব্দুল্লাহ সহ ইফতারের জন্য রেডি, এমন সময় হুজুর মাইকে ইফতার করতে বলে, মাইকের আওয়াজের সাথে সাথে সন্ত্রাসী হেলাল ও ইয়াবা মামলার আসামী রবিউল আলম রবি সহ তার চাচাতো ভাই ও বউ,বউয়ের বড় বোনসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন তাদের উঠানে চিল্লানি শুরু করলে নিহত আব্দুল্লাহ ঘর থেকে বের হয়ে ঘটনা কি জানতে চাওয়ার আগে ই কুঠার ও বটি নিয়ে এলোপাথাড়ি কুপাতে থাকে, মুহুর্তে বাড়ির বাকী সদস্যরা বের হওয়ার সাথে সাথে সন্ত্রাসীরা ফালিয়ে যায়,তবে অনেকে ফালিয়ে যেতে পারলেও একজন কে আটকে রাখতে সক্ষম হন নিহতের বড়ভাই খোকা,আটককৃত ব্যক্তিকে পুলিশের কাছে স্থানান্তর করেন জনতা।হামলা কারীরা ফালিয়ে গেলেও কুঠার ও বটি রেখে যায়। বাবু কে সাথে সাথে পালংখালী এনজিও এর একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বেঁচে নেই বলে জবাব দেন।
ফলে লাশ বাসায় আনার সাথে সাথে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই নাজমুল সহ পুলিশের একটি প্রধিনিধি দল ঘটনা স্থল পরিদর্শনে আসেন ও সত্যতা যাচাই করেন।
লাশ পুলিশ মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন ও এলাকার মানুষ কে শান্ত হওয়ার আহবান জানান।হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন।
Leave a Reply