শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন

হোয়াইক্যংয়ের কানজর পাড়ায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবা লুটের নেপথ্যে কারা?

ক্রাইম রিপোর্টার :
  • আপডেট টাইম সোমবার, ২১ জুন, ২০২১

টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়ায় নাফনদী ও বড় ফিশারীর মধ্যবর্তি জায়গায় ইয়াবার বিশাল একটি ইয়াবার চালান লুট হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। উক্ত ঘটনা ধামাচাপা দিতে ঘটনার সাথে জড়িতরা নানা তদবিরে নেমেছে।একাধিক লোকের তথ্যমতে ১লক্ষ পিস ইয়াবা বলে জানা গেছে । ইতোমধ্যে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী,গোয়েন্দা সংস্থাসহ অনেকে তা নিয়ে মাঠে কাজ করছে। স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে গত ১৬ জুন দিবাগত গভীর রাতে মনজুর প্রকাশ বার্মাইয়া লাল বুইজ্জা,তার জামাই মোঃ হোছন,সেলিম প্রকাশ বার্মাইয়া সেলিম দীর্ঘদিন ধরে কান্জরপাড়ার একটি মাদক চক্রের আশ্রয়ে ছিল। ১৬ জুন ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ২ টায় নাফনদীর নিকটে বিশাল একটি চালান খালাস করে। পরে তা নিয়ে তাদের গন্তব্যে নেয়ার সময় কানজরপাড়ার পূর্বে বড় ফিশারী নামক চিংড়ি ঘেরের নিকটে ১ লাখ ইয়াবা লুট করে কান্জর পাড়ার একটি চিহ্নিত চক্র। যা ইতিমধ্যে কিছু ভাগ ভাটোয়ারা হয়েছে মর্মে নানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বেশ কয়েকজন সরকারী গোয়েন্দা রা অনেক তথ্য খুজে পেয়েছে। তাদের তথ্য মতে ইয়াবা ছিনতাই বা লুটপাটে নেতৃত্ব দেয় হোয়াইক্যং ৫ নং ওয়ার্ডের ৩ সহোদর যথাক্রমে জিয়াবুল হক, মোঃ আমিন, জালাল । লুট হওয়া উক্ত ইয়াবার বস্তা থেকে প্রশাসন কে ম্যানেজ করার কথা বলে শেখ কবির নামক এক চৌকিদার ১০ হাজার ইয়াবা( এক কার্ট) নেয় বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে উক্ত চৌকিদারের সাথে মুঠোফোনে যাচাই করা হলে তিনি তা অস্বীকার করেন। তবে তার কাছে আশ্রয় নেয়া এক যুবক সরকারী দলের পরিচয়ে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। যা নিয়ে প্রতিবেদক উর্ধতন নেতৃবৃন্দ কে বিষয়টি অবহিত করেন। এদিকে সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, ইয়াবা লুটের নেপথ্যে একজন সিএনজি চালক সহ আরও ৭জন জড়িত রয়েছে। লুটকৃত ইয়াবার ভাগও নেয় তারা। ছিনতাইকারী ও ইয়াবা জমাকারীর বাড়ি কানজর পাড়া আদর্শ মডেল একাডেমি কে জি স্কুলের একটু পশ্চিমে পাশে স্থানীয় মেম্বার এর বাড়ির উত্তর পাশে পুকুরের পশ্চিম পাড়ে তাদের বাড়ি। ইয়াবা লুটের বিষয়টি স্থানিয় বিজিবি, পুলিশ সহ চিংড়ি ঘেরের বিভিন্ন লোকজন ও শুনেছেন বলে স্বীকার করেছেন। স্থানিয় সচেতন মহলের মতে এত বড় ইয়াবার চালান লুটের পর এখনও অপরাধীরা ধরা না পাড়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের উকি দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আলোচিত এত বড় ইয়াবার চালান লুটের ঘটনা কি ধামাচাপা পড়বে? এমন প্রশ্নও সচেতন মহলের। উল্লেখ্য যে, ইয়াবা পাচার রোধে স্থানীয় জেলেরা দীর্ঘদিন ধরে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলেও থেমে নেই ইয়াবা পাচার। ইয়াবার কারণে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে জেলেদের মাঝে ক্ষোভ,হতাশা ও উত্তেজনার যেন শেষ নেই। বর্তমানে অসহায় ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে জেলে পরিবার গুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581