ঋনের বোজা সইতে না পেরে অবশেষে মাথাগুজার স্থান বসতঘরটি বিক্রি করে দিল রফিক। তার পর ঝড় বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে দুটি শিশু বাচ্চা ও পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করে ত্রিপলের নিচে। ত্রিপল টানিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস যাবৎ বসবাস করছে রফিক। হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯ নং গন্ধর্ব্যপুর উ: ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিক। সে ওই এলাকার ফরাজী বাড়ি নজুমদ্দিনের ছেলে । দুইটি শিশু সন্তান নিয়ে ত্রিপলের নিচে বসবাস করায় ফেইসবুকে বাইরাল হয় । পরে স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা জহির, স্থানিয় বাসিন্দা ফারুক ১ বান টিন ও কিছু নগদটাকা শুকনো খাবার বিতরন করেন। ওই সময় খবর পেয়ে স্থানীয় সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম তাকে ঘর করে দেয়ার আস্বাস দেন। এ সময় তিনি তাঁর প্রতিনিধি দিয়ে খোঁজ খবর নেন। কিন্তু এ মুহুর্তে খ শ্রেণীর সুবিধাভোগীদের ঘর দিতে বিলম্ব হয়। পরে সাংবাদিক খালেকুজ্জামান শামীম ও সাইফুল ইসলাম সিফাত ইউএনও মোমেনা আক্তারের সামনে বিষয়টি তুরে ধরলে তিনি তাদেরকে দুইবান টীন ও নগদ ৬ হাজার টাকা করে প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন । শনিবার সকালে মোহাম্মদপুর গ্রামের ফরাজী বাড়ির রফিকসহ ১৪ পরিবারের মাঝে টিন ও নগদ টাকা প্রদান করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার।এসময় হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকির হোসেন, হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেকুজ্জামান শামীমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। টীন টাকা প্রাপ্তরা হলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলার টোড়াগড় গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে নুরজাহান, নাটেহরা গ্রামের আকমত আলীর ছেলে মমিন হোসেন, পিরোজ পুর গ্রামের আলী মোল্লার স্ত্রী আমেনা বেগম, মকিমাবাদ গ্রামের মৃত আবদুল মতিনের ছেলে আবদুস সবু, পশ্চিম হাটিলা গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী জাহেদা বেগম, টোড়াগড় গ্রামের অলুর মেয়ে পেয়ারা, ছয়ছিলা গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে মোতালেব, কংগাইস গ্রামের সোহেলের স্ত্রী সালমা বেগম, পশ্চিম হাটিলা গ্রামের আজিজ মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা, এনায়েতপুর গ্রামের জাব্বারের স্ত্রী পেয়ারা, বলাখাল গ্রামের হাকিম মিয়ার মেয়ে জাকিয়া বেগম, হরিপুর গ্রামের মধুদাসের স্ত্রী শ্বরসতি, টোড়াগড় গ্রামের স্বামী পরিক্ত্যক্তা পারভিন বেগম। যাদের জায়গা আছে ঘর নেই তাদের মাঝে এ সব টীন ও নগদ টাকা প্রদান করা হয়।
Leave a Reply