দেশের ৭০%মানুষের দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস, তাদের অধিকাংশ কল কারখানা সহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত। ঠিক এদের মাঝে ৩০% শ্রমিক কাজ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে। জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে নিয়োজিত এ সকল শ্রমিক পাচ্ছেনা তাদের রাষ্ট্রীয় মৌলিক অধিকার সমূহ। চলমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে কোভিড-১৯ ভাইরাসে নিমজ্জিত সাড়াবিশ্ব, ঠিক এমন মহামারী আকার ধারন করা এই মরনঘাতী ভাইরাসের প্রভাব পরেছে বাংলাদেশেও। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাংলাদেশ যখন লক ডাউনের অন্তর্ভুক্ত, সেখানে দেশের বিভিন্ন ইটভাটা ঘুরে দেখা মেলে তার ভিন্ন চিত্র।
বগুড়া শেরপুর উপজেলা, বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়োজিত শ্রমিকরা জানেই না করোনা ভাইরাস কি? বুঝেনা সামাজিক দুরুত্ব কাকে বলে? এবং ইট ভাটার শ্রমিক দের মুখে থাকেনা মাস্ক একই অবস্থানে নিয়োজিত ভাটা শ্রমিকদের বাসস্থানে নেই কোন বিশেষ সুযোগ সুবিধা। এর ফলে শতভাগ ভাইরাস সংক্রামনের ঝুকি রয়েই যাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে একই শয়ন কক্ষে ১০/২০ শ্রমিকের বসবাস, নেই কোন প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট।
সচরাচর অবাধ ঘোরাফেরায় এবং একসাথে ১০/২০ গায়েঘেষে বসে বিড়িটানা স্বভাব, করোনাভাইরাস এর বিস্তারের প্রভাব রয়েই যাচ্ছে এ সকল সেক্টর থেকে। রন্জু নামে একজন প্রতিনিধি প্রতিনিধিকে বলেন স্যার আমাদের কোরোনা রোগ হবেনা – আমাদের মাথা থেকে পা পযন্ত ঘামে এগুলো আমাদের অসুখ না।
আশে পাশের সচেতন মহলের সাথে কথা বলে জানা যায় , শমিকদের ও কিছু কিছু ভাটার মালিকদের অসচেতনার ফলেই এমন সাস্থ্যঝুকি বেড়েই চলছে এই সকল ইট ভাটায়। সরকারী সঠিক নির্দেশনা না থাকায় ইটভাটা মালিকগন তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখছেনা বলেও জানান কিছু কিছু ভাটা পরিচালনাধীন মালিকগন। দেশের সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এ সকল ঝুঁকিপূর্ণ ইটভাটা বন্ধ করার আহ্বান জানান সচেতন মহল।
Leave a Reply