বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তের একশ মিটারের মধ্যে স্থলমাইন বসাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ? মাতৃজগত টিভি

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি
  • আপডেট টাইম শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের একশ মিটারের মধ্যে আবারো স্থলমাইন বসানো শুরু করেছে মিয়ানমার সেনারা সীমান্তে বসবাসরত রোহিঙ্গা নেতা ও স্থানীয় অনেকে জানান, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় এখন বিভিন্ন ধরনের মাইন পুঁতে রাখছে । এর মধ্যে একধরনের মাইন রয়েছে যেগুলো স্থানীয়ভাবে ‘আনারস মাইন’ হিসেবে পরিচিত। এসব মাইনের দুই পাশে তার লাগানো থাকে। এই তারে স্পর্শ বা চাপ পড়লে তাতে বিস্ফোরণ ঘটে। এই এন্টি পার্সোনাল মাইনে ৪০০ থেকে ১২০ গ্রাম পর্যন্ত সি-৪ বা প্লাস্টিক এক্সফ্লোসিভ থাকে। পুঁতে রাখা কিছু মাইন পাওয়া গেছে যেগুলো মেকানাইজড করা। এর ডেটোনেটিং সিস্টেমের সুইসে টান দিলে এর বিস্ফোরণ ঘটে।

জানা গেছে, সীমান্তে পুতে রাখা সবচেয়ে মারাত্মক মাইন হলো ‘ইলেকট্রনিক্স মাইন’। রুশ প্রযুক্তির এই মাইনে সেন্সর ব্যবহার করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ওপরের দিকে সীমান্ত এলাকায় এসব মাইন বসানো হচ্ছে। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার শাহ্ আবদুল আজীজ আহমেদ এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন ঘুমধুমের এই এলাকা ১১ বিজিবি জোনের অধীনে হলেও এসব এলাকা দেখাশোনা করেন কক্সবাজারের ৩৪ বিজিবি। তবে বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

প্রসঙ্গত, বিগত ১৯৯২ সাল থেকে সীমান্ত এলাকায় এধরণের মাইন বসাতে শুরু করে মিয়ানমার। এই মাইনে অনেক কাঠুরিয়া হতাহত হয়। ২০১৬/১৭ সালে রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নের সময় বুচিডং এলাকায় ৩০ জন রোহিঙ্গা মৃত্যুবরণ করে এ স্থল মাইন বিস্ফোরণে। এতে আহত ও অঙ্গহানির শিকার হয়ে অনেকে পঙ্গু হয়ে জীবন-যাপন করছে ।

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের স্থল সীমান্তে কোনো বেড়া নেই। পিলার দিয়ে সীমান্ত চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড অথবা মিয়ানমার বর্ডার গার্ডের নিয়মিত পাহারা থাকে না।

এদিকে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি সমাগত যুদ্ধের মতো রূপ নিচ্ছে বলে উল্লেখ করছেন পর্যবেক্ষকরা। স্থানীয় একটি সূত্রে জানিয়েছেন এবং সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সীমান্তের ১৫ কিলোমিটার দূরে বুচিডংয়ের মূল ভূখণ্ড থেকে ৩৪টি অত্যাধুনিক ট্যাংক নিয়ে এসেছে। অত্যাধুনিক এ ট্যাংক বিগত ২০১৬ সালে চীন থেকে এসব সংগ্রহ করে ছিলেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581