সিরাজগঞ্জে পাঁচদিনের ব্যবধানে হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়ার ঘটনায় কল্পনা খাতুন (২৫) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও আরও পাঁচ নারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সলঙ্গা থানাধীন আলোকদিয়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে জীবিত ও মৃত শিশু দুটিকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া কল্পনা আলোকদিয়া গ্রামের সাদ্দামের স্ত্রী। নিহত শিশু মাহিম উল্লাপাড়া উপজেলার ভাদালিয়া গ্রামের চয়ন ইসলাম ও মঞ্জুয়ারা দম্পত্তির সন্তান। জীবিত শিশু সামিউল পাবনা জেলার চাটমোহর থানার স্থল গ্রামের আব্দুল মাজেদ ও সবিতা খাতুন দম্পত্তির ছেলে। সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, শনিবার দুপুরের দিকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার শাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে একদিন বয়সী নবজাতক শিশু চুরি যাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ ও ঘটনার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনার পর কিছুটা নিশ্চিত হয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আলোকদিয়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে নবজাতক শিশুটিকে সাদ্দামের স্ত্রী কল্পনার কোলে দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর বাড়ি তল্লাশি করে ধানের গোলার মধ্যে মাহিম নামের অপর শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২৯ দিন বয়সী ওই শিশুটি ২৩ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুরি হয়। এসময় বাড়ির মালিক কল্পনাকে গ্রেফতার করা হয় এবং আশপাশে অবস্থান করা আরও পাঁচজন নারীকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ সুপার মো. হাসিবুল আলম বিপিএম বলেন, আমরা দুটি শিশুর একটিকে মৃত অবস্থায় অপরটি জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা মাহিম নামের ২৯ দিন বয়সী একটি শিশু চুরি ঘটনা ঘটে। এর ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) হাটিকুমরুল গোলচত্বরের শাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে সামিউল নামের একদিন বয়সী নবজাতক শিশুটি চুরি হয়।
Leave a Reply