সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মোবাইল ফোনে ফ্রি ফায়ার গেমস খেলতে নিষেধ করায় বাবা-মার উপর অভিমান করে মোরসালিন (১৭) নামে এক এসএসসি পরিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। সে বেলকুচি উপজেলার চন্দ্রগাঁতী জামতলা গ্রামের শাহ আলম মল্লিকের ছেলে। সোহাগপুর শ্যামকিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। শুক্রবার (৪ঠা জুন) দুপুরে বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনগাঁতী গ্রামের শাহ আলমের বড় ছেলে মুরছালিন গলায় রশি পেচিয়ে নিজের শয়ন কক্ষে আত্মহত্যা করে। এ সময় তার মা ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাড়ির সবাইকে নিয়ে নামিয়ে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে নিহতের স্বজনেরা সাংবাদিকদের বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা করে। এ সময় ৭১ টিভির বেলকুচি উপজেলা সংবাদদাতা উজ্জ্বল অধিকারী ও জাতীয় দৈনিক ইনকিলাব বেলকুচি উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক বাবু উপর হামলা করে নিহত মুরছালিনের চাচা নয়ন, সাংবাদিকরা তাদের নিউজ সংগ্রহের জন্য ভিডিও ও ছবি তুলতে নিলে হামলা চালিয়ে মোবাইল মাটিতে ফেলে দেয়। ভিডিও করতে নিলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধুমকি সহ অশালীন কথা বার্তা বলেন পরে ডিএসবি আব্দুর রশিদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার বেলকুচি উপজেলা সার্কেল সিদ্দিক আহমদ জানান, শুক্রবার দুপুরে বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনগাঁতী গ্রামে এক স্কুল ছাত্র মুরছালিন গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু বরণ করেন। এ নিয়ে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি তাই মরদেহের সৎকারের জন্য পরিবারের কাছেই লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা দু:খজনক। উল্লেখ, গত ১লা জুন মঙ্গলবার মা মুরছালিনকে মোবাইলে গেম খেলা নিষেধ করেন। এক পর্যায়ে মা মোবাইল কেড়ে নিলে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেয় মুরছালিন। পরে এ নিয়ে মায়ের সাথে মনমালিন্য শুরু হয়। যার ফলশ্রুতিতে আজ শুক্রবার দুপুরে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করে মুরছালিন।
Leave a Reply