নিজস্ব প্রতিবেদনঃ আজ ৩রা মে ২০২০ইং রোজ রবিবারঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের নিঝুরী গ্রামে সরকারী খাল খননের মাটি রাতের অন্ধকারে বিক্রি করে রমরমা ব্যবসা করছে, সাব-ঠিকাদার ও রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক, শরিফ-উল-আলম শরিফ, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক, আল-আমিন সরকার, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক, রেজাউল করিম বাচ্চু ও ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক, জিন্নাতুল আলম সম্রাট। গত ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০:০৯ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে আমাদের টিম পৌছালে দেখা যায়, করোতোয়া খাল খননের মাটি রাতের অন্ধকারে ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। আমাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌছানোর ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে আমাদেরকে পুলিশ ভেবে দুর্বৃত্তরা অর্থাৎ সাব-ঠিকাদারের লোকজন, ট্রাক ড্রাইভার, স্ক্যাপিটর (বেকো) মেশিনের ড্রাইভার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে দশটি ড্রাম ট্রাক ও ১টি বড় স্ক্যাপিটর (বেকো) মেশিন ছিলো। পরে সাংবাদিক নিশ্চিত হয়ে তারা আস্তে আস্তে আবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় ছাত্রলীগের কিছু বেপরোয়া কর্মিরা সাংবাদিকদেরকে অর্থের প্রলোভন দেখায়, তাতে যখন কাজ হচ্ছিল না ঠিক তখন তারা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয় এবং এক পর্যায়ে ভিডিও কৃত ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে, এর এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা উপজেলা সাধারন সম্পাদক শরিফ-উল-আলম শরিফকে কল দিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন সাংবাদিকদেরকে তোমরা ম্যানেজ করে পাঠিয়ে দাও, ফোনটি লাউড স্পিকারে থাকার জন্য আমরা কথা গুলো শুনে ফেলি। এর এক পর্যায়ে বৈধ খাল খননের অবৈধ মাটির ক্রেতা, শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক, এনামুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে, সাংবাদিক মহলকে অর্থের প্রলোভন দেখায়, তাতে কাজ না হলে পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের ফোন কলের মাধ্যমে হুমকি প্রদান করে এবং নিউজ প্রকাশ করলে এলাকায় থাকতে দিবে না এই ধরনের কথাও উচ্চারন করে। পরদিন এ বিষয়ে ফোন কলের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামীলিগের সাঃ সম্পাদক, শরিফের কাছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে তিনি কোন মন্তব্য না করেই ফোনের লাইন কেটে দেন। এর পর মুল ঠিকাদার সিরাজগঞ্জের সাইদুল ইসলামকে বিষয়টি জানালে, তিনি বলেন “মাটি বিক্রির নিউজটি আমার জানা নেই” কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি মাটি বিক্রি করার কিছু অর্থ তার কাছেও গেছে এবং তিনি এই বিষয়টি পুরোপুরি ভাবে জানেন। খাল খননের মাটি রাতের অন্ধকারে বিক্রির সাথে জরিত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সুস্থ তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সিরাজগঞ্জ জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়, মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে।
Leave a Reply