জনগণের মাঝে পুলিশের সেবা পৌছে দিতে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার ওসি খুরশীদা বানু (কনা) এদিকে,গত বছরের মে মাসের শুরুতে দুর্গাপুর থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন আব্দুল মোতালেব। স্বামীর লাথিতে গর্ভের সন্তানের মৃত্যু, ওসি নেননি মামলা’ শিরোনামে জাতীয় দৈনিক যুগান্তরের শেষ পৃষ্ঠায় সংবাদ প্রকাশের পর দুর্গাপুর থানার ওসি আবদুল মোতালেবকে পরের দিন বুধবার সকালে পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে বদলি করা হয় এছাড়া এলাকার একাধিক অভিযোগে রয়েছে, থানাকে অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেন তিনি। অনেকটা প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণ ও গ্রেফতার বাণিজ্য এবং চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
উপজেলার মাছ ব্যবসায়ীদের অবৈধভাবে পুকুর খননের কাজে সহায়তার নামে ব্যাপক চাঁদাবাজি করেছেন তিনি। এ নিয়ে মাছ ব্যবসায়ীরাও তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাকে বদলি করার খবরে এলাকার একাধিক ভুক্তভোগীরা স্বস্বি প্রকাশ করেন। রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ওসি কনা থানায় যোগদানের পর থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রন ও সব ধরনের অপরাধ রোধসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি থানাকে দালাল মুক্ত করার বিষয়ে তিনি সাহসী কঠোর ভূমিকা পালন করে থানাকে দালাল মুক্ত করেছেন। যদিও তিনি থানা দালাল মুক্ত ঘোষণার পর থেকেই স্থানীয় একটি মহল ওসি খুরশীদা বানু কনা বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাতে তার পথ রুদ্ধ হয়নি,বরং আরো জোরালো গতিতে চলছে তার কার্যক্রম। দুর্গাপুরের মাদক ব্যবসায়ী গডফাদাররা গত কয়েক বছর যাবত প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে ফেন্সিডিলসহ রমরমা ইয়াবা বানিজ্য চালিয়ে আসলেও রহস্য জনক কারনে কেউ তাদের আটক করতো না। কিন্তু বর্তমান দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খুরশীদা বানু কনা ২০১৯ সালের ২২ জুলাই দুর্গাপুর থানায় যোগদান করেই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ী গডফাদারদের আটকের জন্য সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। এদিকে দুর্গাপুর থানার বর্তমান ওসি খুরশীদা বানু কনা সার্বিক তৎপরতায় জনমনে প্রশান্তি ফিরেছে।একের পর এক মাদক সম্রাটদের আটকে সাধারন মানুষ সস্থি প্রকাশ করেছেন। এলাকার সচেতন মহল সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে এরকম জিরো টলারেন্স আশা করেন। দুর্গাপুরে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ওসি খুরশীদা বানু কনা বলেন, দুর্গাপুর বাসীর গর্ব করার মত অনেক কিছু আছে। তার মধ্যে,কিছু অসাধু মাদক ব্যাবসায়ীদের কারনে দুর্গাপুরের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। আর তিনি এজন্য সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে চান।
তিনি বলেন,আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের তৎপরতার কারনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া পূর্বের ন্যায় এখন আর প্রকাশ্যে নারীদের ইভটেজিং, চুরি, চালকদের আহত করে মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের মত ঘটনাগুলো আর নেই। গর্ব করার মত দুর্গাপুর গড়তে তিনি সাংবাদিক এবং সচেতন দুর্গাপুর বাসীর কাছে থেকে সুষ্ঠু ও সুপরিকল্পিত দিক নির্দেশনা আশা করেন।
Leave a Reply