নওগাঁর সাপাহারে করোনা প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে সর্ব মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। উপজেলায় নানা ধরণের উন্নয়ন, সেবামুলক কাজ, কর্মমুখী শিক্ষা বিস্তার ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষা-উন্নয়ন ও জনবান্ধব ইউএনও হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন। সাধারণ মানুষের মুখে মুখে তার সততা ও সাহসী পদক্ষেপের কথা। জানা গেছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনায় নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত না হয়ে তিনি প্রতিনিয়ত জনগণের সেবায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। দীর্ঘদিন পর উপজেলার মানুষ একজন জনবান্ধব কর্মকর্তা পেয়ে মহাখুশি। সরকার লকডাউন ঘোষণা দেয়ার পর থেকে জনগণের নিরাপত্তা ও করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষার জন্য তিনি প্রতিনিয়ত উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রাপ্ত প্রান্ত ছুটে চলছেন এই মানবিক কর্মকর্তা। এছাড়া ও অসহায় ও কর্মহীন মানুষদের খুজে বের তাদের কাছে পৌছে দিচ্ছেন প্রধান মন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী ও করোনা আক্রান্ত দুস্হ পরিবারকে প্রদান করছেন আর্থিক অনুদান। করোনাভাইরাসের মরণ থাবা থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচানো আর আনাহারে থাকা পরিবারকে আহার প্রদান করার প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন তিনি। সাহস নিয়ে মানুষের পাশে থেকে লড়াই করে যাচ্ছেন করোনা যুদ্ধে এই সম্মুখ যোদ্ধা। যেখানেই অসহায় মানুষের খাবারের সমস্যা সেখানেই খাবার নিয়ে তিনি উপস্থিত, হোক সে দিন কিংবা রাত। লকডাউনের সময় কর্মহীন দরিদ্র অসহায় গরিবদের পাশেও বারবার সরকারি ত্রাণ এবং কখনও কখনও নিজ অর্থ থেকেও খাবার নিয়ে বিতরণ করছেন। উপজেলা চত্ত্বর ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দরিদ্র কর্মহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহার খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। গত ৫ এপ্রিল লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে “সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ মোতাবেক বেশ কয়েকটি মামলা করে অর্থদন্ড প্রদান করেছেন। এছাড়াও তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ ও ভেজালমুক্ত খাদ্য গ্রহণে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে যাচ্ছেন। মানবিক এই কর্মকর্তা এক মুহূর্ত অফিসে অলস সময় বসে না থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের দেয়া বিভিন্ন কর্মসুচি বাস্তবায়নে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের দেয়া নির্দেশনা মেনে চলার পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হবার আহবান জানিয়ে বলেন কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার ও বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, আপনারা যদি নিজেরা সচেতন না হন, নিজের পরিবারকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে না পারেন তাহলে সেটা দুঃখজনক। সাপাহার বাসির প্রতি অনুরোধ স্বজনহারা লাশের মিছিল দেখতে না চাইলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের নিয়মগুলো মেনে চলুন। এ ছাড়াও উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার অসহায় মানুষের জন্য সরকারী বরাদ্দকৃত প্রধানমন্ত্রীর উপহার নগদ টাকাসহ ভিজিএফ, ভিজিডি, জিআর ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম সর্বক্ষনিক তদারকি করছেন ইউএনও আব্দুল্যাহ আল মামুন । উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, আমার উপজেলা ঘনবসতিপূর্ণ বরেন্দ্র এলাকা। এই এলাকায় যে পরিমাণ জনগণের বসবাস তা অন্য কোনও উপজেলার চেয়ে বেশি। তাদের মধ্যে অনেকে অসহায়, জেলে, দরিদ্র ও দিনমজুর। স্থানীয় সাংসদ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী মহোদয় এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবার চেস্টা করছি, জানিনা আমি কতটুকু করতে পারছি, তবে আমার এই প্রচেস্টা সব সময় অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply