আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
আজ ৩০ আগস্ট, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ১৮ তম বার্ষিকী।
২০০২ সালের এই দিনে সাতক্ষীরা থেকে কলারোয়া হয়ে যশোর যাবার পথে, হামলার শিকার হন, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
এই ঘটনার পরই আক্রান্ত হন তার সফরসঙ্গী সাতক্ষীরার একদল সাংবাদিক।
হামলাকারীদের রোষানলে পড়ে কলারোয়া থানায় অবরুদ্ধ ছিলেন তারা দুই ঘন্টা।
পুলিশ তাদের বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে সাতক্ষীরায় ফিরিয়ে আনে। এর আগে ২৬ আগস্ট রাতে কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেত্রী মাহফুজা খাতুন একদল দুর্বৃত্তের যৌন লালসায় গণধর্ষণের শিকার হন। গভীর রাতে তাকে অচেতন অবস্থায় নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে।
(৩০ আগস্ট-২০০২) খুলনা সফররত বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা খবর পেয়ে মাহফুজাকে দেখতে সাতক্ষীরা চলে আসেন। তিনি মাহফুজাকে হাসপাতালে সান্তনা দিয়ে হাসপাতাল গেটে এসে একটি ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত ভাষনে সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এই সরকার তাদের ক্যাডারদের খুন ও ধর্ষনে মদদ দেয়। তাদের উৎখাত করতে হলে সর্ব শক্তি নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামতে হবে।
ভাষন শেষে শেখ হাসিনা তার গাড়ি বহর নিয়ে যশোরের উদ্দেশ্যে কলারোয়া অভিমুখে রওনা হতেই খবর আসে সেখানে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে তাকে আটকে দেওয়া হবে। তৎকালিন ডিসি ও এসপি বলেন ব্যারিকেড তুলে দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা ওই পথে সহজে যেতে পারবেন। শেখ হাসিনার গাড়ি বহর অনুসরন করে চলছিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সুভাষ চৌধুরীর নেতৃত্বে মাইক্রোভর্তি একদল সাংবাদিক।
কলারোয়ায় পৌঁছাতেই শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
তিনি গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে তাদের কাছে জানতে চান কি চাও তোমরা। ওই মূহুর্তে শেখ হাসিনার উপর হামলা করতে আসলে নিরাপত্তা কর্মিরা তাকে দ্রুত গাড়িতে তুলে যশোর অভিমুখে চলে যায়।
পরবর্তীতে সে দৃশ্য কামেরা বন্দী করার অপরাধে বিএনপি ক্যাডাররা তাদের উপর হামলা চালায়
এসময় সাংবাদিকরা কলারোয়া থানায় পৌঁছালে সেখানেও রোষানলে পড়েন।
এঘটনায় সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী একটি মামলা করেন।
পরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে গিয়ে তৎকালীন বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী বরকতউল্লাহ ক্ষমা প্রর্থনা করেন।
Leave a Reply