সাতক্ষীরায় ব্যবসায়িক গোলযোগে বন্ধুর হাতে কলেজ ছাত্র খুন হয়েছে বলে খুনি বন্ধুর স্বীকারোক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে। ব্যবসায়িক পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে রাসুল আহম্মেদ জিমকে বেধড়ক মারপিট করে বন্ধু জাহিদ হাসান। মারপিটের এক পর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তার নিয়ে যাওয়া হলেও বেধড়ক মারপিটে আহত জিম এক সময়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
তারপর মরদেহটি লুকিয়ে রাখতে মাটির নিচে চাঁপা দেওয়া হয়। সাতক্ষীরা সদরের চালতেতলা এলাকায় মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া কলেজ ছাত্রের হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা এভাবে প্রকাশ করেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে তিনি আরো জানান, অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসার জন্য জিমের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নেয় জাহিদ। মূলত জিম এর এই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মাঝে গোলযোগ ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে জিমকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় জাহিদ।
এরপর ঘটে হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক এ ঘটনা। হত্যাকান্ডের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। রাসেল হোসেন জিম (২২) খুলনার ফুলবাড়িগেট এলাকার হেমায়েত হোসেনের ছেলে ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। তারা সাতক্ষীরা শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকায় বসবাস করেন। হত্যাকারী জাহিদ হাসান (২৩) সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর এলাকার মোঃ আব্দুর রউফ হাসানের ছেলে। তারা সাতক্ষীরা পৌর শহরের চালতেতলা বাগানবাড়ি এলাকায় হলুদের মিল ব্যসবায়ী লিটন হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে জাহিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় জিম।
নিখোঁজের পর জিমের বাবা হেমায়েত হোসেন বুধবার সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। ভোররাতে গ্রেফতার করা হয় বন্ধু জাহিদকে। এরপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদ হাসান হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকারসহ বিস্তারিত জানায় পুলিশকে।
Leave a Reply