আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাতক্ষীরায় নবজাতক শিশুপুত্র কে হত্যার অভিযোগে, শিশুটির পিতা ও মাতাকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) ভোর রাতে সদর উপজেলার হাওয়ালখালি গ্রামে নিজ বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শিশুটির পিতা সোহাগ হোসেন ও মা ফাতেমা খাতুনকে।
পুলিশ জানায়, দু’বছর আগে নানির বাড়িতে আশ্রিতা ফাতেমা কলারোয়া উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনের সাথে বিয়ে হয়।
শ্বশুর বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর পারিবারিক কলহের কারণে আবারও স্বামীকে নিয়ে তাকে আশ্রয় নিতে হয় নানির বাড়ি সদর উপজেলার হাওয়ালখালিতে।
গত ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা শহরের আনোয়ারা ক্লিনিকে জন্ম হয় তাদের একটি পুত্র সন্তান। শিশুটির নাম রাখা হয় সোহান হোসেন।
জন্মের পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ২৫ নভেম্বর বুধবার তারা সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে শিশুটি হারিয়ে গেছে মর্মে শিশুটির পিতা সোহাগ হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন জানান, পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেভাজন শিশুটির পিতা ও মাতা’কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, যে শিশুটি জন্ডিস, রিকেট, নিউমোনিয়া ও হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিল।
তিনি জানান, এ সমস্ত কারনে ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনের যোগসাজশে শিশু হত্যা এবং মরদেহ গুমের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরো জানান, শিশুটির পিতা সোহাগ হোসেন শিশুটিকে মেরে তাদের বাড়ির সামনের সেফটি ট্যাংকির ভিতরে মরদেহটি ফেলে দেয়। আর এ কাজে সহযোগিতা করে শিশুটির মা ফাতেমা খাতুন। পুলিশ বিষয়টি জানার পর শনিবার ভোর রাতে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply