দুর্নীতিবাজ, সরকারি অর্থ আত্মসাতকারী, দুদকের মামলার আসামী শ্রীউলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাকিলের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্রীউলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম বুলু। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে ভূয়া প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা উত্তোলন করে ও কোন কাজ না করে বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখিয়ে এডিপি ও এলজিএসপির টাকা তুলে আত্মসাৎ করে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের সম্মানি ভাতা দেয়ন সে। সরকারি খাস জমিতে তৈরি করেছেন বিলাস বহুলবাড়ি। দরিদ্র শ্রেণির লোকজন সরকারি এসব সুযোগ সুবিধা পায়না? পুইজালা গ্রামের রমেশচন্দ্র মন্ডলের স্ত্রী কনিকা মন্ডলের টিপসই জাল দুই বছর ধরে ভিজিডি চাল উত্তোলন করেছেন চেয়ারম্যানও তার লোকজন। ৪০ দিনের কর্মসূচীর কাজ ৩০দিনে শেষ করে অতিরিক্ত ১০ দিনের টাকা উত্তোলন করে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটেয়ারা করে নিয়েছেন। এডিপিও এলজিএসপির আওতায় ভূয়া প্রকল্পের তালিকা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। শহীদ মিনার নির্মান, নাকতারা পাঞ্জেগানা মসজিদ সংস্কার করার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে নিজের পকেট ভত্তি করেছেন। সেখানে এই সব প্রতিষ্ঠানের কোন অস্তিত্ব নেই। আর এসব প্রকল্পের বেশির ভাগ সভাপতি চেয়ারম্যান আর সেক্রেটারি তার গাড়িচালক আবদুল্লাহ আল মুামন। সে জামায়াতের সমর্থন নিয়ে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। তার সাথে থাকলে বিএনপি-জামায়াত আওয়ামীলীগ হয়। আর আওয়ামীলীগের লোক যদি তার পাশ থেকে সরে আসে সে জামায়াত শিবির হয়ে যায় এবং প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে তাদের উপর বিভিন্ন রকম নির্যাতন চালিয়ে থাকেন। সে ইউনিয়নে কোন উন্নয়ন মূলক কাজ করিনি। এখন তার আছে প্রাইভেট গাড়ি, মাছের ঘের, বাগান বাড়ি আর কাড়ি কাড়ি টাকা। তার এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তার মাদকাসক্ত পুত্র সৌরভ রায়হান সাদ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন নিয়ে হামলা, মারপিট ও লাঞ্চিত করে। এমনকি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিও করা হয়। চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল ইউনিয়নের খেয়াঘাট ইজারা নিয়ে সরকারের ১৪ লক্ষ টাকা রাজস্ব আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুদক কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী হয়েছেন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দুদকের মামলায় তাকে দ্রত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করা হয়েছে। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল বলেন, দুদকে তার নামে মামলা হওয়ার পর তার বিরোধীপক্ষরা নানা রকম মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে তার সম্মানহানি করে যাচ্ছে। মামলার ঝামেলা মিটে গেলে তিনিও তার বিপক্ষের লোকজন কে কতটা ভালো তা তিনি দেখে নেবেন। এদিকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান সাকিলের পক্ষ থেকে তিনি নির্দোষ দাবি করে, দুপুরে আরেকটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply