সাতক্ষীরায় ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৮ টি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সদর উপজেলার ব্রম্মরাজপুর এলাকায় ১৫দিনে ১৮ গরুর মৃত্যুর ঘটনায় গরু চাষী ও কৃষকদের মাথায় হাত উঠেছে। আর এতে জেলা পশু সম্পদ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। সাতক্ষীরা গবাদিপশু খামার মালিক সূত্রে জানা গেছে , সদর উপজেলার ধুলিহর, ব্রহ্মরাজপুর, ফিংড়ি, আলিপুর, লাবসা, ঝাউডাঙ্গা, বল্লী, বাঁশদাহ ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় গবাদি পশুর ক্ষুরারোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ঘোষপাড়ায় মারা গেছে অন্তত ১৮টি গরু। বিভিন্ন জাতের গরুর মৃত্যুর ঘটনায় চরম ক্ষতির শিকার সাধারণ মানুষ ফুসে উঠতে শুরু করেছে। আক্রান্ত হয়েছে শতশত গরুকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পরও এই রোগে আক্রান্ত পশুকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান ভুক্তভোগিরা। দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ গবাদি পশু নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারী মালিকরা। হঠাৎ করেই গবাদি পশুর মধ্যে ক্ষুরারোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমে গরুর পায়ে ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। এরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। মুখ দিয়ে লালা ঝরে। রোগাক্রান্ত গরুর হাঁটাচলা করতে পারে না। এমনকি খাদ্র ও গ্রহণ করতে না পারার কারণে রোগাক্রান্ত হয়ে এক সময় ঢলে পড়ছে মৃত্যুর কোলে। ক্ষুরারোগের আক্রান্ত থেকে প্রতিকার চেয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন খামার মালিকরা। এ ব্যপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাম প্রসাদ মন্ডল বাবু বলেন, হঠাৎ করেই এই রোগ দেখা দিয়েছে। শুধু সাতক্ষীরা সদরে নয় জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে গবাদি পশু বাচাতে চরম আতঙ্কে তাদের দিন কাটছে। তিনি আরও বলেন, রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর গবাদি পশু হার্ট লিক হয়ে শ্বাস কষ্টজনিত কারণে তাৎক্ষণিক মারা যাচ্ছে। ভ্যাকসিন দিলেও কাজ হচ্ছেনা। রামপ্রসাদ বাবু আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের মতই এ রোগের ভাইরাস মিউটেশন চেঞ্জ করে। আমাদের দেশে গবাদি পশুর ক্ষুরারোগের ৩টি স্টেজের উপর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। কিন্তু যে রোগ দেখা দিয়েছে তাতে আছে ৫টি স্টেজ। ফলে ভ্যাকসিনে কোন কাজ হচ্ছেনা। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার জয়ন্ত কুমার সিংহ জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১ল
Leave a Reply