আজ (১৯ জুন) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলাউদ্দিনের ২৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী। স.ম আলাউদ্দীন সাতক্ষীরা তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের মিঠাবাড়ী গ্রামে ১৯৪৫ সালের ২৯ আগষ্ট জন্ম গ্রহণ করেন। এবং দুর্বৃত্তের গুলিতে ১৯৯৬ সালের ১৯ জুন নিহত হন। তিনি ১৯৬২ সালে এসএসসি,১৯৬৪ সালে এইচএসসি, ১৯৬৭-১৯৭৫ সালে বি এল কলেজ থেকে বিএ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাস করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালে প্রথম ছাত্রলীগের যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর অস্ত্র সরবরাহ এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণে নিয়োজিত ছিলেন। অস্ত্র প্রশিক্ষণ এর সাথে সাথে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করেন। এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তার জেলা সাতক্ষীরার গণমানুষের উন্নয়নের স্বার্থে তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন এবং সাতক্ষীরার নিপীড়ন মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।সাতক্ষীরা উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গিয়েছেন। এক কথায় সাতক্ষীরার রুপকার স.ম আলাউদ্দীন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা সময় দেশ ও মানুষকে ভালোবেসে, নিজের জীবনকে বিসর্জন দিয়ে দেশ স্বাধীনের জন্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়াদিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন। এবং স্বাধীনতার পর সাতক্ষীরার অসহায় মানুষের দুঃখ কষ্ট রোধকরার জন্য তিনি বিভিন্ন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। এবং ভবিষ্যতে তালা উপজেলাসহ সাতক্ষীরা জেলাকে সোনার জেলা উপহার দেওয়া জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনাও করেন। যে জনগনকে তিনি নিজের পরিবারের চেয়েও ভালোবেসে দেশ স্বাধীনতার অগ্রনিভুমিকা পালন করাসহ গরিব ও অসহায় দুঃখি মানুষের জন্য রুজি রুটি ব্যবস্থা করছিলেন। সেই লোভী অকৃজ্ঞ ঘাতকেরা স.ম আলাউদ্দীনকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেন। এই সমাজ এতোটাই অন্ধ বিবেকহীন যে সেই হত্যা বিচার আজও পাই নাই। যে দেশে একজন মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও পত্রদুত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এর হত্যার বিচারের জন্য যুগ যুগ পার হয়ে যায়।সেই দেশের সাধারন মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। কি জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে বাংলার মানুষকে অন্ধকারে রাখার জন্যই কি এ দেশ স্বাধীন হয়েছে, না এই সমাজে বিবেকবান কেউ নাই।
Leave a Reply