মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১০ মার্চ২০২১ইং, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টায় শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান ইউপির সিক্কা গ্রামের জনৈক আঃ রহিম মিয়া (৫৫), পিতা-মৃত বারেক মিয়া, আব্দুর নুর মিয়া (৬০), পিতা-মৃত বারেক মিয়া এবং আব্দুল মজিদ মিয়া (৫০), পিতা-অজ্ঞাত, সর্ব সাং-সিক্কা, থানা-শ্রীমঙ্গল, জেলা-মৌলভীবাজার এর বসত বাড়িতে বিপুল পরিমাণ চোরাই চা-পাতা মজুদ রয়েছে তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভেজাল চা-পাতা উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় সুত্রের তথ্যে পাওয়া যায় চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল চা পাতা বানিয়ে বিক্রি করে যাচ্ছে,তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই এলাকাবাসীর। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ কারবারিরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তখন আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আব্দুর রহিম মিয়ার বসত ঘর তল্লাশী করে ৪০ বস্তা গ্রীন টি এর গুড়া মিশ্রিত চা পাতা, নুর মিয়ার বসত ঘর তল্লাশী করিয়া ৩৫ বস্তা গ্রীণ টি এর গুড়া মিশ্রিত চা পাতা ও আব্দুল মজিদ মিয়ার বসত ঘর তল্লাশী করে ১২ বস্তা বালু মিশ্রিত ডাস্ট এবং সিডা এর মাধ্যমে তৈরীকৃত চা পাতা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অবৈধ ভেজাল চা পাতা কারবারিরা শ্রীমঙ্গল থানাধীন বিভিন্ন চা বাগান হতে চা পাতা, শুকনো চা পাতা ও অন্যান্য গাছের পাতা সংগ্রহ করে তাদের নিজেদের প্রযুক্তির মাধ্যমে শুকিয়ে ঢেকি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির মাধ্যমে অভিনব কায়দায় গুড়া করে ক্যামিক্যাল জাতীয় অন্যান্য দ্রব্যাদি মিশ্রন করে ভেজাল চা পাতা প্রস্তুত করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে যাচ্ছে এ ছাড়া ও বিক্রয়ের উদ্দেশে আটক কৃত বিপুল পরিমাণ ভেজাল চা পাতা মজুদ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালিক বলেন,”ভেজাল কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অভিযানে এসআই, আল আমিন, এস আই আলমগির, এস আই জাকির, এএসআই নজরুল ইসলামসহ পুলিশের একটি টিম অংশগ্রহণ করে ভেজাল চা পাতা উদ্ধার করে।
Leave a Reply